পুনের একটি স্কুলে পিএফআইয়ের প্রশিক্ষণ শিবির চলত। স্কুলের দুটি তলা জুড়ে ছিল এই শিবির। খবর পেয়ে স্কুলের দু’টি তলা-ই সিজ করেছে এনআইএ। এই শিবিরে দক্ষিণপন্থী তথা হিন্দু নেতা ও তাদের সংগঠনের চরম ক্ষতি করার শিক্ষা দেওয়া হতো মুসলিম যুবকদের বলে জানা গেছে।
গত ১৬ এপ্রিল এনআইএ স্কুলের দু’টি তলায় তল্লাশি চালিয়ে সিজ করে পরের দিন অর্থাৎ ১৭ এপ্রিল টুইট করে এই খবর জানায়। পুনের ওই স্কুলটির নাম ব্লু বেল স্কুল। ওই স্কুলের চার এবং পাঁচ তলাতে প্রশিক্ষণ শিবির চলত বলে জানা গেছে। এই প্রশিক্ষণ শিবিরে মুসলিম যুবকদের কট্টরপন্থার শিক্ষা দেওয়া হতো। একরকম ভাবে তাদের জঙ্গি তৈরি করার কাজ করা হতো। কীভাবে দক্ষিণ পন্থী তথা হিন্দু নেতাদের হত্যা করতে হবে সেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো।
জানা গেছে, মুসলিম যুবকদের এই শিবিরে এনে সাংগঠনে যুক্ত করে মিশন ২০৪৭ কীভাবে সফল করা যায়, আর যারা এই মিশনের বিরোধিতা করছে তাদের কীভাবে সরিয়ে ফেলা যায় তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। প্রসঙ্গত, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে পিএফআই। ২০২২ সালে কেন্দ্র সরকার পিএফআইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
কিছুদিন আগে পুনের ওই এলাকা থেকে প্রচুর আপত্তিজনক লিফলেট, পোস্টার পাওয়া যায়। জানা ব্লু-বেল স্কুলের চার এবং পাঁচ তলায় পিএফআই যুবকদের অস্ত্র শিক্ষা দিত, হিন্দু নেতাদের হত্যা করার জন্য। বন্দুক ছাড়াও আরও অন্যান্য অস্ত্র চালানোর শিক্ষাও দেওয়া হতো এখানে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক গত বছর পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়াকে(PFI) ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে। এরপর পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়াকে সমর্থন করে সুর চড়ায় বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর সন্ত্রাসবাদি সংগঠন আই এস আই এস।
কর্নাটকের শিবমোগা মামলায় তদন্ত সংস্থা যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে সেই দুই অভিযুক্তের ক্ষেত্রে ইসলামিক স্টেটের ভূমিকা সামনে এসেছে। অভিযুক্ত দুজনই ২৫ টির বেশি অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে চার্ট শিটে উল্লেখ রয়েছে। পাশাপাশি এনআইএ জানিয়েছে বিদেশ থেকে তহবিল সংগ্রহের ক্ষেত্রে ক্রিপ্টো কারেন্সি পেমেন্ট ব্যবহার করে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া সদস্যরা।