একমাত্র ভারতের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই কাশ্মীর সমস্যার স্থায়ী এবং শান্তিপূর্ণ সমাধান হতে পারে বলে জানালেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ! কাশ্মীর দিবস উপলক্ষে বুধবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজফ্রাবাদে প্রাদেশিক আইনসভার বিশেষ অধিবেশনে তিনি বলেন, ‘‘আমরা কাশ্মীর-সহ সমস্ত সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে চাই।’’
যদিও এর পরেই পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘ভারতের উচিত ৫ আগস্ট, ২০১৯-এর ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসা।’’ ঘটনাচক্রে, ওই দিনই নরেন্দ্র মোদী সরকার ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করেছিল এবং ওই রাজ্যকে ভেঙে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ) পরিণত করেছিল। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের আইনসভায় কাশ্মীরিদের ‘ন্যায্য লড়াইয়ের’ প্রতি সমর্থন এবং সহমর্মিতা জানান শাহবাজ। সম্প্রতি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নতুন করে পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলন দানা বেঁধেছে। এই প্রেক্ষিতে পাক প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন অনেকেই।
শাহবাজের দাদা নওয়াজ শরিফ সে দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়ে ১৯৯১ সালে এই দিনটির সূচনা করেন। প্রতি বছর ৫ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীর সংহতি দিবস উপলক্ষে পাকিস্তানের সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকে। সাম্প্রতিক অতীতে দেখা গিয়েছে, এই বিশেষ দিনটিকে ভারত বিরোধী প্রচারের কাজে ব্যবহার করেছেন সে দেশের রাজনীতিকরা। এ বারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পাক প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি বুধবার সরকারি রেডিয়োতে কাশ্মীরবাসীর লড়াইয়ে সমর্থন জানানোর পাশাপাশি ভারতের উপর চাপ সৃষ্টির জন্য আন্তর্জাতিক মঞ্চগুলির কাছে আহ্বান জানিয়েছেন।