বাশার আল-আসাদের ২৪ বছরের সাম্রাজ্যের পতন ঘটিয়েছিলেন। সেই মহম্মদ আল-বশির হতে চলেছেন সিরিয়ার তদারকি সরকারের প্রধানমন্ত্রী। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, টেলিভিশনে একটি বক্তৃতায় আল-বশির দাবি করেছেন, ২০২৫ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান পদে থাকবেন।
উত্তর-পশ্চিম সিরিয়া এবং ইদলিবের দখল নিয়েছিল বিদ্রোহীদের সরকার। সেই সরকারের প্রধান হলেন আল-বশির। তাঁর সেই সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করত মূলত ইসলামিক গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম। সিরিয়ায় আসাদের সরকারের পতনের নেপথ্যে দায়ী এই গোষ্ঠীই। রবিবার নিজের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান আসাদ। সূত্রের খবর, বন্ধু দেশ রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।
২০১১ সাল থেকে গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়া। বাশারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন দেশবাসীর বড় অংশ। তাতে মদত দেয় হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস), যার মাথায় রয়েছেন মহম্মদ আল-জোলানি। অতীতে আল-কায়েদায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধে মৃত্যু হয়েছে প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষের। আসাদ সরাকরের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে বার বার। প্রথম থেকে বিদ্রোহীদের সমর্থন জানিয়েছে আমেরিকা। অন্য দিকে, আসাদকে সমর্থন করে এসেছে রাশিয়া। শেষ পর্যন্ত গত ২৭ নভেম্বর জোর ধাক্কা খায় আসাদ সরকার। সিরিয়ার বিদ্রোহী সশস্ত্র দুই গোষ্ঠী ‘হায়াত তাহরির আল-শাম’ এবং তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র যৌথবাহিনীর আগ্রাসনের মুখে কোণঠাসা হয়ে পড়ে সিরিয়ার সরকার। রবিবার রাজধানী দামাস্কাসের পাশাপাশি একের পর এক শহর চলে যায় বিদ্রোহীদের দখলে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, প্রায় বিনা বাধাতেই রাজধানী দামস্কাস ‘দখল’ করে নেন বিদ্রোহীরা। পালিয়ে যান আসাদ। এ বার সে দেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হলেন আল-বশির।