“মহাশ্মশানে বৈষ্ণবদের সমাধিকে তুলে ফেলে দিতে চাইছেন তারাপীঠ- রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান সুকুমার মুখোপাধ্যায়। তাঁকে মদত দিচ্ছেন রামপুরহাটের বিধায়ক, পর্ষদের চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর তোলাবাজ ভাইপো। ওটারও নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৩ সালে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে ঘাড় ধাক্কা খেয়েছিলেন এই আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। ঐতিহাসিক এই পবিত্র শ্মশানকে নোংরা করছে তৃণমূল। শ্মশানের পবিত্রতা নষ্ট করে দিয়েছে শাসক দলের নেতারা।” শুক্রবার সন্ধ্যায় বীরভূমের রামপুরহাটের পাঁচমাথা মোড়ে মহকুমা শাসকের দফতরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই অভিযোগ করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
প্রসঙ্গত, তারাপীঠ মহাশ্মশানে নোংরা জল ধরে রাখার জন্য তৈরি হচ্ছে কংক্রিটের ট্যাঙ্ক। তারাপীঠ- রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের দাবি, ওই জল পরিস্রুত করে নদীতে ফেলা হবে। এই নির্মাণের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে বিজেপি। আন্দোলন করতে গ্রেফতার বরণ করেন জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা সহ ১৫ জন। এরপরেই বিজেপির পক্ষ থেকে রামপুরহাট মহকুমা শাসকের অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করা হয়। শুক্রবার অবস্থান বিক্ষোভ পাঁচ দিনে পড়েছে। এদিন সন্ধ্যায় অবস্থান মঞ্চে হাজির হন শুভেন্দু অধিকারী। শ্মশানের পবিত্রতা নষ্ট করায় ওই নির্মাণের বিরোধিতা করেন তিনি। কুম্ভে তিনটি নদীর জল মিশছে। তাদের সত্ত্বাও দেখা যাচ্ছে। আমরা এই নদীকে পুজো করি। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে একটি নদীরও অস্তিত্ব নেই। নদীর বালি চুরি করে অস্তিত নষ্ট করেছেন। নদী সংস্কারের উদ্যোগ দূরের কথা এই সরকার ধ্বংস করতে ব্যস্ত। এই সরকার তোষণের সরকার। এই সরকারের কাজ হচ্ছে হিন্দুদের উপর আক্রমণ করা।” এদিন তিনি অবস্থান আন্দোলনের সমাপ্তি ঘোষণা করে আইনি লড়াইয়ের হুমকি দেন। তিনি বলেন, “তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, সহ সমস্ত সরকারি আধিকারিককে আদালতে তোলা হবে। আমরা আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে শ্মশানের পবিত্রতা রক্ষা করব।”
দিঘার জগন্নাথ মন্দির প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ওটা ২০০ কোটি সরকারি টাকায় নির্মাণ হয়েছে। ওটা কালচারাল সেন্টার। জগন্নাথ মন্দির নয়। হিন্দু মন্দির কখনো সরকারি টাকায় নির্মাণ হয় না। রাম মন্দিরও হয়নি। রামন্দিরের টাকা জনগণ দিয়েছে।” রামপুরহাট পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন ভকতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আপনার লুটের তথ্য আমাদের কাছে আছে। সময়ে ব্যবস্থা নেব।”
সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বীরভূমের জেলা শাসক বিধান রায় এবং রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম দেউচা– পাঁচামি নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন। সেই দুর্নীতি ২৯ মার্চ সাংবাদিক সম্মেলন করে তুলে ধরব। এই দুর্নীতি শিক্ষা দুর্নীতির থেকেও মারাত্মক।”