ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগ তুলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৈধ ভোটার হওয়া সত্ত্বেও বিজেপি করার কারণে ভোটার তালিকা থেকে নাম কেটে দেওয়া হয়েছে বলে কমিশনের অফিসে গিয়ে অভিযোগ করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। যাদের নাম বাদ পড়েছে এমন ২৫ জনকে নিয়ে কমিশনের অফিসে গিয়েছিলেন শুভেন্দু।
বিজেপি নেতার দাবি, ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়া সবাই ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা, এবং এরা সকলেই বিজেপি কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। ফলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে তার অভিযোগ। এই কাজে বিডিও, এসডিও, এমনকি জেলা শাসকও জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
নির্বাচন কমিশনারের কাছে শুভেন্দু অধিকারী ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগ জানানোর পর সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ডায়মন্ড হারবার আলিপুর সহ গোটা রাজ্যের অনেক এসডিও এই অপকর্মে সামিল হয়েছেন। এতে মৌখিক সম্মতি দিয়েছেন জেলা শাসকরা। বেশ কয়েকজন জেলা শাসকের নাম নিয়েও আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এরই মধ্যে কিছু জেলাশাসক তা আটকানোর চেষ্টা করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শুভেন্দুবাবু বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকায় এবার যে ধরনের কারচুপি, যেভাবে বিডিওদের নেতৃত্বে হয়েছে তাতে চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা, ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদেরও যোগ সাজোশ রয়েছে। সংঘটিতভাবে, পরিকল্পিতভাবেই অপরাধ করা হয়েছে। এই ঘটনা ভারতের কোথাও হয়নি।
ভোটার লিস্টের কারচুপিকে ডায়মন্ড হারবার মডেল আখ্যা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, রাজ্যের ৪২টি আসনে কমবেশি এই ঘটনা ঘটেছে। রাজনৈতিক ভাবে বাদ দেওয়া ভোটারদের নাম যাতে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়, সেই দাবি কমিশনারের কাছে জানিয়ে এসেছেন বিরোধী দলনেতা।