অনুব্রতের জেলায় ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় পাঁচ অভিযুক্তের জামিন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট

২০২১ সালের বিধানসভা ভোট পরবর্তী হিংসায় পাঁচ অভিযুক্তের জামিন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাই কোর্ট ওই পাঁচ জনকে ২০২৩ সালে জামিন দিয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার সেই রায় খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ।

বীরভূম জেলার সদাইপুরের ওই ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় অভিযুক্তদের জামিন খারিজ করে দুই বিচারপতির বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে বলেছে, ‘‘বিরোধী দলের উপর হামলা আদতে গণতন্ত্রের উপর হামলা।’’ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে ওই পাঁচ জনকে ট্রায়াল কোর্টে (নিম্ন আদালত) আত্মসমর্পণ করতে হবে। আত্মসমর্পণ না করলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে ট্রায়াল কোর্ট।

আগামী ছয় মাসের মধ্যে মামলার শুনানি (ট্রায়াল) নিম্ন আদালতকে শেষ করতে হবে বলেও জানিয়েছে বিচারপতি নাথ এবং বিচারপতি মেহতার বেঞ্চ। শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, ভয়মুক্ত পরিবেশে যাতে শুনামি হয় তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব এবং পুলিশের ডিজিকে। প্রয়োজনে অভিযোগকারী এবং সাক্ষীদের নিরাপত্তা দিতে হবে পুলিশকে। প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় জামিন চেয়ে শেখ জামির হোসেন, শেখ নূরুই, শেখ আশরফ, শেখ কবিরুল এবং জয়ন্ত ডোম কলকাতা হাই কোর্টের দারস্থ হয়েছিলেন। হাই কোর্ট আবেদনে সাড়া দিয়ে জামিন মঞ্জুর করার পরে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল সিবিআই।

এই মামলায় সিবিআইয়ের আবেদন মেনে জানিন নাকচ করে শীর্ষ আদালতের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছেন অভিযুক্তরা। তাঁরা বিরোধীদের বাড়িঘর ভাঙচুর এবং মারধরের ঘটনায় জড়িত। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের পরে রাজ্য জুড়ে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে’ খুন, ধর্ষণ এবং ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনাগুলিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। হাই কোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল রেখেছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.