অপেক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে। অবশেষে পৃথিবীতে ফিরছেন মার্কিন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর। মহাকাশ থেকে একটি সাক্ষাৎকারে আমেরিকার সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে ফেরার তারিখ জানিয়েছেন বুচ। কী ভাবে, কোন মহাকাশযানে চড়ে তাঁরা ফিরবেন, বিশদে বলেছেন তা-ও। দীর্ঘ ন’মাস পর সুনীতা এবং বুচ পৃথিবীতে নামতে চলেছেন আগামী ১৯ মার্চ।
গত বছরের জুন মাসে মাত্র আট দিনের জন্য মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন সুনীতারা। কিন্তু যে মহাকাশযানে তাঁদের পৃথিবীতে ফেরার কথা হয়েছিল, তাতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এর ফলে সুনীতারা আটকে পড়েন মহাকাশে। ক্রমে তাঁদের সফর দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে থাকে। বর্তমানে মহাকাশে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনেই রয়েছেন দুই নভশ্চর।
কিছু দিন আগে সুনীতাদের নিয়ে ফেরার মহাকাশযান ক্রিউ-১০-এর উৎক্ষেপণের তারিখ জানিয়েছিল নাসা। ১২ মার্চ সুনীতাদের আনতে মহাকাশে পাড়ি দেবে ওই মহাকাশযান। তাতে থাকবেন আরও চার জন নভশ্চর। নাসার তরফে অ্যান ম্যাক্লেন এবং নিকোল আয়ার্স, জাপানের তরফে তাকুয়া ওনিশি এবং রাশিয়ার তরফে কিরিল পেসকভ ক্রিউ-১০-এ মহাকাশে যাবেন। তাঁরা পৌঁছলে সুনীতারা গবেষণার কাজ তাঁদের বুঝিয়ে দিয়ে পৃথিবীতে ফিরবেন।
সাক্ষাৎকারে বুচ জানিয়েছেন, বর্তমানে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে ভাসমান গবেষণাগারের (ল্যাবরেটরি) ‘কমান্ডার’ সুনীতা। ক্রিউ-১০ অভিযানে চার মহাকাশচারী পৌঁছলে তাঁদের মধ্যে এক জনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবেন তিনি। এই হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলবে সাত দিন। ১২ মার্চ ক্রিউ-১০ মহাকাশে পৌঁছবে। তার পর ১৯ মার্চ আবার সেই মহাকাশযানে চড়বেন সুনীতা এবং বুচ। তাঁদের নিয়ে মহাকাশযানটি পৃথিবীর উদ্দেশে রওনা দেবে।
ক্রিউ-১০-এর উৎক্ষেপণের কথা ছিল মার্চের শেষের দিকে। সেই তারিখ এগিয়ে আনা হয়েছে। ফলে সুনীতাদের ফেরার দিনও এগিয়ে এসেছে। সম্প্রতি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সুনীতাদের ফিরিয়ে আনার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন স্পেস এক্সের কর্ণধার ইলন মাস্ককে। তার পরেই ক্রিউ-১০-এর উৎক্ষেপণের দিন এগিয়ে আনা হয়।