মাস ছয়েক আগে বিয়ে হয়েছিল দু’জনের। তার মধ্যেই বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন স্বামী। বাড়িতে তুমুল অশান্তি চলছিল এ সব অভিযোগ নিয়ে। তার পরেই ‘রহস্যমৃত্যু’ স্ত্রীর! ঘটনার পর মৃতের স্বামী শুভম ঘোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে হাওড়ার গোলাবাড়ি ১০ নম্বর রোজমেরি লেনের আবাসন থেকে উদ্ধার হয় অলঙ্কিতা সিংহের (২৭) ঝুলন্ত দেহ। অলঙ্কিতার বাপের বাড়ি বেলুড়ে। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ছ’মাস আগে শুভমের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। দু’জনেই সল্টলেকের আইটি সেক্টরে কাজ করতেন। পাঁচ বছর প্রেমও করেছেন তাঁরা। তার পরেই বিয়ে।
অলঙ্কিতার দেহ উদ্ধার হওয়ার পরেই তাঁর বাপের বাড়ির লোকেরা শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে গোলাবাড়ি থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অলঙ্কিতার স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি এবং ননদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
এই ঘটনাকে নিছক ‘আত্মহত্যা’ বলে মানতে নারাজ মৃতার পরিবারের লোকেরা। তাঁদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই কারণে-অকারণে অলঙ্কিতার উপর মানসিক নির্যাতন করতেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। বাপের বাড়ির লোকেদের দাবি, শুভমের সঙ্গে অন্য একটি মেয়ের সম্পর্ক ছিল। প্রেমিকাকে দামি রাতের পোশাকও উপহার দিয়েছিলেন শুভম। এমনকি, প্রেমিকাকে সেই পোশাক পরে ছবি তুলে পাঠাতেও বলতেন যুবক। এ কথা জানতে পেরে গিয়েছিলেন অলঙ্কিতা। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরেই অশান্তি চলছিল। তার পরেই অলঙ্কিতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আত্মহত্যা না খুন, তা রিপোর্ট হাতে এলেই স্পষ্ট হবে। পাশাপাশি, শ্বশুরবাড়ির লোকেদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর পরেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুভমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।