Sukanta, Sandeshkhali, সন্দেশখালির সন্ত্রাসের ঘটনা তুলে ধরব, রাজ্যজুড়ে বিজেপির হয়ে প্রচার চালাবো, বালুরঘাটে সুকান্তর পাশে দাঁড়িয়ে সরব নির্যাতিতারা

সন্দেশখালি যে এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সবথেকে বড় হাতিয়ার হবে সেটা আগেই বোঝা গিয়েছিল। এবার সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের অভিজ্ঞতা সরাসরি মানুষের সামনে তুলে ধরে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আজ গঙ্গারামপুরে সন্দেশখালির প্রতিবাদী নির্যাতিতা মহিলাদের নিয়ে মিছিল ও সভা করলেন বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার।

সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের পা পড়তে চলেছে বালুরঘাটে। তারা যোগ দেবেন বিজেপির ভোট প্রচারে। এই খবর আগেই পাওয়া গিয়েছিল। তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। এরই মধ্যে এবার সন্দেশখালির প্রতিবাদী নির্যাতিতা মহিলাদের নিয়ে গঙ্গারামপুরে মিছিল ও সভা করলেন বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। সমাজের বিশিষ্ট জ্ঞানীদের সামনে তুলে ধরলেন সেখানকার সন্ত্রাসের কথা। শনিবার বিকেলে প্রায় কয়েকশো মহিলাকে নিয়ে সভা করেন সুকান্ত মজুমদার। সন্দেশখালিকে তুলনা করেন আফগানিস্তানের সঙ্গে। তিনি অভিযোগ করেন, সেখানকার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না। কিন্তু সেখানে নতুন সূর্যোদয় হবেই।

আজকের সভা থেকে তৃণমূল সহ বিভিন্ন দল থেকে ৪০ জন মানুষ বিজেপিতে যোগদান করেন, তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন সুকান্ত মজুমদার। গঙ্গারামপুর ফুটবল ময়দান থেকে মিছিল শুরু হয় সাড়া শহর পরিক্রমা করার পাশাপাশি বিপ্লব মিত্রের বাড়ির সামনে দিয়ে এই মিছিল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এসে পৌঁছায়। এই মিছিলে প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও ছিলেন সন্দেশখালির চার মহিলা, তপনের বিধায়ক, বিজেপির জেলা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক থেকে শুরু করে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা।

সুকান্ত আজকের পথসভা থেকে এক হাত নেন তৃণমূলকে। তিনি বিপ্লব মিত্রের উদ্দেশ্যে বলেন, বাড়ির সকলে মোটামুটি একাধিক পদে রয়েছেন। এক ভাইকে বিধায়ক করার জন্য সাংসদ পদে লড়ছেন বিপ্লব দা। কিন্তু সেই আশা পূরণ হবে না, সে গুড়ে বালি।

বিপ্লব মিত্রের ভাই তথা গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি খবর পাচ্ছি পুরসভার চেয়ারম্যান বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে হুমকি দিচ্ছেন, বলছেন এত ভোটে লিড দিতে হবে তৃণমূলকে। তাকে বলতে চাই হুমকি চমকি বন্ধ করুন। যতদিন না গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান থাকবেন তার থেকে বেশি ইডি, সিবিআই হাতে থাকবেন। বাড়ি কোট আর হেফাজত করে দিন কাটবে। এই গ্যারান্টি আমি দিয়ে যাচ্ছি। এই হুমকি, চমকি নয়, মানুষ যাকে ইচ্ছা ভোট দেবেন সেটা আমাদের মেনে নিতে হবে।

সুকান্তর পাশাপাশি সন্দেশখালির মহিলারাও এদিন সরব হয়েছেন। একজন বলেন, আমাদের সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর নির্মম অত্যাচার হয়েছে। প্রশাসনের কাছে গিয়েও কোনো সুবিচার পাওয়া যায়নি। সন্দেশখালিতে একবারের জন্যেও মুখ্যমন্ত্রী আসেননি। গোটা
সন্দেশখালিজুড়ে এরকম অনেক ঘটনাই আছে। আমরা গোটা রাজ্যের বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে যাব। সেখানে গিয়ে সন্দেশখালির সন্ত্রাসের কথা তুলে ধরবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.