প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকা। এই পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বঙ্গ বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা সুকান্ত মজুমদার। জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর দায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিতে হবে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
সোমবার রাতে প্রবল বৃষ্টির জেরে ব্যাপক পরিমাণে জল জমেছে শহরে। এর ফলে বেশ কয়েকজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, তিনি সিইএসসি এবং সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছেন। সঞ্জীব গোয়েঙ্কা যাতে নিজে পুরো বিষয় ও পরিস্থিতির উপর নজর রাখেন তার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। আর এই নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, পুজোর আগে এতগুলো পরিবার তাদের প্রিয়জনদের হারালো। এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত দায়ভার সিইএসসি এবং সঞ্জীব গোয়েঙ্কার উপর ছেড়ে দিতে চাইছেন সেটা ঠিক নয়। কারণ কারো ওপরে দায়ভার ছেড়ে দিয়ে তিনি এভাবে দায়িত্ব ছেড়ে পালাতে পারেন না।
সুকান্ত মজুমদার আরো বলেন, দেশের অন্যান্য মেট্রোপলিটন শহরগুলিতে বিদ্যুতের তার ঝুলে থাকে না, যেভাবে কলকাতায় ঝুলে থাকে। কারণ বন্যা বা এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে যে জল জমবে সেটা খুব স্বাভাবিক। সব শহরেই জমে। তার জন্য কাউকে দোষারোপ করা যায় না। সম্প্রতি বেঙ্গালুরু এবং হায়দ্রাবাদে জল জমেছিল, কিন্তু কোথাও তো বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে মানুষের মৃত্যু হয়নি। এমনটা কলকাতাতেই কেন বারবার হয়?
তাঁর প্রশ্ন, দু’বছর আগে এভাবেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুটি শিশুর প্রাণ গিয়েছিল। কলকাতাজুড়ে এই অব্যবস্থার জন্য দায়ী কে? সুকান্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বলেন, সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে কার সম্পর্ক আছে? ভোটের সময় সঞ্জীব গোয়েঙ্কার থেকে কে টাকা নেয়? মুখ্যমন্ত্রী জবাব দিতে পারবেন না। তিনি পালাবেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ভার নিতে শিখতে হবে। সবসময় লোকের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে দেবেন না, এটা চলবে না।