Sukanta Majumder: ‘কেউ আঘাত পেলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী’, বিদায়বেলায় আবেগঘন বার্তা সুকান্তের!

 ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে বঙ্গ বিজেপির ‘ক্যাপ্টেন’। দলের রাজ্য় সভাপতির পদে এবার শমীক ভট্টাচার্য। ‘দীর্ঘদিনের বন্ধু ও লড়াইয়ের সঙ্গী’-কে শুভকামনা জানালেন সদ্য প্রাক্তন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর অঙ্গীকার, ‘লড়াইয়ের ময়দানে কারও অংশগ্রহণে এতটুকু খামতি থাকবে না আগামীতে। আগামী বিধানসভা নির্বাচন হয়ে উঠবে পশ্চিমবঙ্গের জন্য় আরও একটি স্বরাজের লড়াই। আঁধার মুছে আলো ফেরানোর শপথ’।

বিজেপির দশম রাজ্য সভাপতি ছিলেন সুকান্ত। দিলীপ ঘোষের পর দায়িত্ব পান তিনি। ২০২১ থেকে ২০২৫। চার বছরের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হল আজ, বৃহস্পতিবার। বালুরঘাটের সাংসদ এখন মোদী সরকারের মোদী সরকারের শিক্ষামন্ত্রী। বিদায়ী ভাষণে সুকান্ত লিখেছেন, ‘আমি রাজ্য় বিজেপির সভাপতি থাকার সময়ে দুটি বড় নির্বাচন হয়েছে। এরমধ্যে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে অতীতের তুলনায় আমাদের আসন কমেছে। তবে ওই নির্বাচন বুঝিয়ে দিয়েছে গ্রামের মতো শহরাঞ্চলেও বিজেপির ভিত শক্ত হয়ে গিয়েছে। তার আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনেও দলের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে তৈরি হওয়া জমির উপরে আরও মজবুত ভিত তৈরি করতে পেরেছে বিজেপি’।

তখনও তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি। মোদীর সরকারের প্রতিমন্ত্রী হন সুকান্ত। তিনি লিখেছেন, ‘আমি সত্য়িই নিজেকে ভাগ্যবান মনে করে যে, রাজ্য় সভাপতি থাকতে থাকতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমাকে দুটি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন। একই সঙ্গে দুটি দফতর ও রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পালনের কঠিন কাজে আমি ক্লান্ত হইনি, দেশমাতৃকার সেবার সুযোগ পাওয়া আনন্দে’।

বিদায়বেলায় মোদী, অমিত শাহ  ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সুকান্ত। লিখেছেন, ‘আমি আশা করি রাজ্য় সভাপতি থাকার পর্বে আমি সকলের বিশ্বাসের মর্যাদা দিতে পেরেছি। সকল দলীয় কর্মী, পদাধিকারী  এবং আমাদের সকল কর্মী এই যাত্রায় আমাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছেন বলেই আমি সামান্য হলেও সাফল্য আনতে পেরেছি। আমি নিশ্চিত আপনাদের ভালোবাসা ও সমর্থন সবসময় থাকবে’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.