বাংলাদেশে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেফতারি অবৈধ বলে উল্লেখ করে এ ব্যাপারে বিদেশ মন্ত্রকের হস্তক্ষেপ চাইলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি এই কথা জানিয়েছেন। দিল্লিতে সুকান্তবাবুর সঙ্গে দেখা করেন ইসকনের বার্তা বিভাগের আধিকারিক যুধিষ্ঠির গোবিন্দ দাস। এরপরই কৃষ্ণদাস প্রভুর গ্রেফতারের বিরোধিতা করে পোস্ট করেন সুকান্ত বাবু।
সুকান্ত মজুমদার জানান, দিল্লির দপ্তরে ইসকনের বার্তা বিভাগের আধিকারিক যুধিষ্ঠির গোবিন্দ দাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশি হিন্দুদের দূরবস্থা ও চিন্ময় প্রভুর অবৈধ গ্রেফতারি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাঁর মতে সুবিচার ও ধর্মাচারণে স্বাধীনতার জন্য গোটা বিশ্বের অবিলম্বে একজোট হওয়া উচিত।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, “আজ আমার দিল্লি অফিসে ইসকন-এর যোগাযোগ অধিকর্তা যুধিষ্ঠির গোবিন্দ দাসের সঙ্গে দেখা হয়েছে। আমরা বাংলাদেশে হিন্দুদের দুর্দশা এবং হিন্দু সংখ্যালঘুদের জন্য শ্রদ্ধেয় হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর বেআইনি গ্রেফতার নিয়ে আলোচনা করেছি। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার জন্য ঢাকা পুলিশ তাঁকে আটক করেছে। এটা গভীর উদ্বেগজনক।” সুকান্ত মজুমদার পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার আবেদন করেছেন। তাঁকে এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। তাঁর মতে, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ন্যায়বিচার ও ধর্মীয় স্বাধীনতার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
এই ঘটনায় বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিও প্রকাশ করেছেন সুকান্ত মজুমদার। ওই বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, “বাংলাদেশের সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশে যখন হিন্দু সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর চরমপন্থীরা লাগাতার হামলা চালাচ্ছে, সংখ্যালঘুদের বাড়ি দোকান পাট লুট করে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে, তার একাধিক নথি ও অভিযোগ রয়েছে। মন্দিরে ভক্তদের ওপর হামলা ও সম্মানহানির অভিযোগ উঠেছে। যদিও সেই ঘটনাগুলিতে অভিযুক্তরা এখনো প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে বৈধ দাবি নিয়ে শান্তিপূর্ণ জমায়েতের দাবি জানানো ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে। যে সংখ্যালঘুরা শান্তিপূর্ণভাবে শ্রী কৃষ্ণ দাস প্রভুর গ্রেফতারির প্রতিবাদ করছেন তাদের উপর হামলা নিয়ে আমরা চিন্তিত। বাংলাদেশের প্রশাসনের কাছে আমরা সমস্ত হিন্দু সহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার আবেদন জানাই। তাদের ধর্মাচরণের স্বাধীনতা শান্তিপূর্ণভাবে জমায়েতের অধিকার সুরক্ষিত করতে হবে।”