আগামী প্রজন্মকে যদি বাঁচাতে হয়, তাহলে বাড়ির ছেলে- মেয়েদের কট্টর হিন্দু তৈরি করুন। হুগলির কুন্তীঘাটে একটি রাম মন্দির নির্মাণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভায় গিয়ে এমনটাই নিদান দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। একইসঙ্গে হিন্দুদের আত্মরক্ষার স্বার্থে বাড়িতে ধারালো অস্ত্র রক্ষার পক্ষেও সওয়াল করেছেন তিনি। যদিও তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
হুগলিতে প্রকাশ্য সভায় সুকান্ত মজুমদার বলেন, নিজের ধর্ম, সংস্কৃতি এবং আগামী প্রজন্মকে বাঁচাতে যদি চান তাহলে ছেলেকে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার যা বানানোর বানান, কিন্তু ভালো হিন্দু বানান। যে নিজের ধর্মের প্রতি সমর্পিত হবে। তিনি আরো নিদান দেন, বাড়িতে একটা করে ধারালো অস্ত্র রাখুন। আপনার ছেলে যদি ধর্ম সংস্কৃতি রক্ষা করতে না পারে, তাহলে সে ডাক্তার অফিসার যাই হোক না কেন ফুটে যাবে। দু’ পয়সা দামও থাকবে না। উদ্বাস্তু হয়ে অন্য কোথাও চলে যেতে হবে।
একই সঙ্গে সুকান্ত মজুমদার পাড়ায় পাড়ায় বজরংবলীর মন্দির তৈরীর বার্তাও দিয়েছেন। তাঁর কথায়, এখনো সময় আছে, নিজের ধর্ম রক্ষার অধিকার আছে সবার। তাই ধর্ম রক্ষার জন্য একত্রিত হোন। যেখানে যেখানে সম্ভব হবে ছোট মাপের হোক মন্দির তৈরি করুন। বজরংবলীর মন্দির তৈরি করুন।
বাড়িতে অস্ত্র রক্ষার পক্ষে তিনি বলেন, হিন্দুরা কাউকে আক্রমণ করতে যাবে না। হিন্দু সমাজ কোথাও আক্রমণ করতে যায় না। কিন্তু আক্রমণ করতে এলে নিজের আত্মরক্ষার অধিকার তো আছে, বাঁচতে হবে তো। পুলিশ আসা পর্যন্ত বাঁচতে হবে তো। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, বিএসএফ না পাঠানো পর্যন্ত তো বাঁচতে হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত তো লড়াই করতে হবে। দিদির পুলিশ বাঁচাবে না, কারণ ওটা ফিরহাদ হাকিম সাহেবের পুলিশ। দিদির পুলিশ বাঁচাবে না, কারণ ওটা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, শেখ শাহজাহান, শওকত মোল্লাদের পুলিশ। আপনার জন্য রয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি পাঠানো পর্যন্ত তো নিজের ধর্ম, সংস্কৃতি রক্ষার জন্য লড়াই চালাতে হবে।
বক্তব্যের শেষ প্রান্তে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ছোট ভাই হিসেবে যে কথাগুলো বললাম সেটা নিয়ে ভাবুন। বাড়িতে ছেলে- মেয়ে আছে, ভাই- ভাইপো- ভাগ্নে আছে, তাদের বোঝান।তাদের কট্টর হিন্দু তৈরি করুন। তিনি বলেন, “আমাদের পূর্বপুরুষরা বলে গিয়েছেন, ধর্মের জন্য সবকিছু ত্যাগ করা যায়, কিন্তু কোনো কিছুর জন্য ধর্ম ত্যাগ করা যায় না।”