এস আই আর ফর্ম পূরণ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন অনেকেই। কোথায় কার কোন তথ্য দিতে হবে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হচ্ছে। তাই এই সমস্যা সমাধানে বিজেপির তরফে বিভিন্ন জেলায় ওয়ার্ড পঞ্চায়েত গুলিতে এস আই আর সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। বালুরঘাটেও সেই রকম একটি সহায়তা কেন্দ্রে ভোটারদের এস আই আর ফর্ম পূরণ করতে সাহায্য করতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে। এরপর বাড়ি বাড়ি ঘুরে বোঝালেন এস আই আর- এর প্রয়োজনীয়তা।
বালুরঘাটে সেই রকমই একটি এস আই আর সহায়তা কেন্দ্রে রবিবার হাজির হন সুকান্তবাবু নিজে। ওয়ার্ডের বহু মানুষ এই সহায়তা কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন। এস আই আর নিয়ে মানুষের নানা প্রশ্ন শোনেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী উত্তরও দেন। তবে কেবল মানুষের সংশয় কাটানোই নয়, ফর্ম পূরণ করতে সমস্যায় পড়া ভোটারদের সাহায্য করেন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ নিজে হাতে পূরণ করে দেন ফর্ম।

এছাড়াও দুই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়িও ঘোরেন সুকান্ত মজুমদার নিজে। সেখানে গিয়ে তিনি এস আই আর- এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে মানুষকে বোঝান। সেইমতো সকলকে এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করতে আবেদন জানান। আর কোনো সমস্যা থাকলে তার জন্য বিজেপি এসআইআর- এর সহায়তা কেন্দ্রে যেতে পরামর্শ দেন।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, ভোট যেমন গণতন্ত্রের উৎসব, সেখানে সকলে অংশগ্রহণ করে, তাকে সফল করে। তেমনই এস আই আর প্রক্রিয়া গণতন্ত্রের একটা উৎসব। সবাই মিলে অংশগ্রহণ করে একে সফল করতে হবে। এর সাফল্য এখনই বলা যাবে না। আগে খসড়া তালিকা বের হোক।
আবার অনেক জায়গায় বিএলওরা বাড়িতে যাচ্ছেন না, তারা যে কোনো একটা জায়গায় বসে ফর্ম বিতরণ করছেন, কোথাও কোথাও তৃণমূল নেতাদের হাতে ফর্ম তুলে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর কথায়, বিএলও’দের কমিশনের নির্দেশ মেনে কাজ করতে হবে।
অন্যদিকে তৃণমূলের কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মিত্রের বিরুদ্ধে সিবিআই চার্জশিট পেশ করতে লোকপালের তরফে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, লোকপাল নির্দেশ দিয়েছে, চার্জসিট জমা করবে, তারপর বিচার হবে। প্রয়োজনে শাস্তি পেতে হবে। তাকে জেলেও যেতে হতে পারে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সংসদে টাকা নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগে লোকপালের নির্দেশেই সিবিআই তদন্ত শুরু করেছিল মহুয়া মিত্রর বিরুদ্ধে। এবার সেই তদন্তের পর চার্জসিট গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সিবিআইকে চার্জশিট পেশ করতে বলা হয়েছে।

