Sukanta, BJP, বুথ ফেরত সমীক্ষায় বিশ্বাস নেই, জয়ের আভাস পাওয়ার পরেও কেন এই মন্তব্য সুকান্তর?

বুথ ফেরত সমীক্ষায় বিশ্বাস নেই। বিভিন্ন এলাকায় প্রচার পর্ব সেরে বালুরঘাটে ফিরে এক্সিট পোল নিয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, বুথ ফেরত সমীক্ষার তুলনায় তাঁর দলের কর্মীদের পর্যালোচনা তাঁর কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর কথায় ৩০টি আসন না পাওয়া পর্যন্ত তাদের লড়াই চলবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

আগামী ৪ জুন মঙ্গল বার লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা। ভোট গণনার আগে সুকান্ত মজুমদার আর বালুরঘাট ছেড়ে যাবেন না বলে জানিয়েছেন। রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, আমাদের দলের যে পর্যালোচনা, দলের কর্মীদের যে ফিডব্যাক সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি দাবি করেন, আমি আড়াই বছর আগে যখন রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদে এসেছিলাম তখন স্লোগান দিয়েছিলাম “এই বার ২৫ পার” কিন্তু তখন আমাদের দলে কর্মীরা এটা বিশ্বাস করতে পারেনি। কিন্তু আজ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম দলের কর্মীরা সকলেই এটা বিশ্বাস করতে এবং বলতে শুরু করেছেন। কিন্তু এই রাজ্যে এর আগে যতদিন ৩০টা আসন না পাচ্ছি ততদিন আমি মনে করব আমি জয়ী হইনি। আমাদের ততদিন লড়াই চলবে।

তিনি আরো বলেন, বুথ ফেরত ফলাফল প্রকাশের আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝে গিয়েছেন মোদীজি আবার ক্ষমতায় ফিরছেন। সেটা শুধু সময়ের অপেক্ষা। সেই জন্য বৃথা সময় নষ্ট করে ১জুন দিদি আর ইন্ডিয়া বৈঠকে যাননি। সুকান্ত মজুমদারের দাবি, মোদীর বিকল্প মোদী। এই দেশের মানুষ, ইন্ডিয়া জোটের ফুটো নৌকার চার পাঁচ জন বিভ্রান্ত মাঝিদের উপর আস্থা না রেখে মোদীর উপর দেশের শাসন ভার অর্পণ করতে চেয়েছেন।

তাঁর কথায়, বিজেপি আগেই বলেছিল এবারও লালকেল্লায় ১৫ আগস্ট মোদীজী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। সেটাই বাস্তবায়িত হবে।

ভোটের পর তৃণমূল আশ্রতি দুষ্কৃতীদের দ্বারা বিজেপি কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে তখন যদি তারা নিজেদের বাঁচাতে কোনো বিজেপি নেতাকে ধরে দলবদলের চেষ্টা করে তারা কিন্তু বাঁচবে না। তাদের কোনো নেতাই বাঁচাতে পারবে না। উত্তর প্রদেশের মতো ট্রিটমেন্ট হবে। একদম এনকাউন্টার।

ভোট পরবর্তী হিংসার মোকাবিলা করতে একমাস কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে থাকুক বলে দাবি করেছিল বঙ্গ বিজেপি। কিন্তু কমিশন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ১৫ দিন থাকবে। তিনি বলেন, তাই থাকুক। কিন্তু আমরা চাইবো বাহিনীকে যেনো থানায় বসিয়ে না রাখা হয়। এসপিদের পাল্লায় যেন না পড়ে, তাহলেই বিপদ। না হলে তারা পৌঁছতে পৌছতে ঘটনা ঘটে যাবে তারা। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যেনো নিজের মতো কাজ করতে দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.