২০২১ সালে বাংলাদেশের পাসপোর্ট থেকে ‘ইজরায়েল বাদে সব দেশে বৈধ’ বাক্যটি বাদ দেয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। ওই সময় বাক্যটি বাদ দেওয়ায় বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ার আশা দেখেছিল ইজরায়েল। যদিও বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন, “কেউ বাংলাদেশ থেকে ইজরায়েলে ভ্রমণ করতে পারবে না। যদি কেউ করে, তাহলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাংলাদেশে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি আরও বলেছিলেন, “পাসপোর্ট হল শুধুমাত্র একটি পরিচয়পত্র। এটি কোনো দেশের পররাষ্ট্রনীতির প্রতিফলন নয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি একই আছে যেমনটা শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে ছিল। আমরা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেই না।”
বাংলাদেশের ওই নীতি সত্ত্বেও ইজরায়েল আশা ধরে রেখেছিল, একটা সময় হয়ত বাংলাদেশ ইজরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়বে। তবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আবারও বাংলাদেশের পাসপোর্টে ওই বাক্য ফিরিয়ে এনে বাংলাদেশিদের ইসরায়েলে ভ্রমণ আবারও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে এবং ইসরায়েলি রাষ্ট্রকে বাংলাদেশ স্বীকৃতি দেওয়ার বিরোধিতা এখনো যে করে সেটি প্রদর্শন করেছে।
বাংলাদেশের পাসপোর্টের পরিবর্তন নিয়ে সম্প্রতি ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত গিলাড কোহেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া ও প্রশান্ত অঞ্চলের সাবেক উপ-মহাপরিচালক, যিনি বর্তমানে জাপানের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি বলেন বাংলাদেশের পাসপোর্ট থেকে এই বাক্য বাদ দেওয়ার বিষয়টি ছিল ‘স্বাগত পদক্ষেপ’। এবং বাংলাদেশকে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছিলাম— তবে এ প্রস্তাব বাংলাদেশ গ্রহণ করেনি।
গিলাড কোহেন পাসপোর্ট থেকে ওই বাক্য বাদ দেওয়ার পর বেশ খুশি হয়েছিলেন। তিনি টুইটে লিখেছিলেন, “অসাধারণ সংবাদ। বাংলাদেশ ইসরায়েলে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। এটি একটি স্বাগত পদক্ষেপ এবং আমি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি সামনের দিকে এগিয়ে যান এবং ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করুন। যেন আমাদের উভয়ের জনগণ সুবিধা পায় এবং উন্নতি করে।”