শর্তসাপেক্ষে কালীঘাটের কাকুর প্যারোলের মেয়াদ বাড়াল কলকাতা হাইকোর্ট। ১৬ জুলাই পর্যন্ত প্যারোলে থাকতে পারবেন তিনি। ১৭ জুলাই তাঁকে যথারীতি প্রেসিডেন্সি কারা কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে হবে। তবে তাঁর সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার জন্য থাকবেন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার একজন ইডি অফিসার। থাকবে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাও।
আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছে যে, কালীঘাটের কাকুকে স্ত্রীর পারলৌকিক কাজের জন্য কোনও মন্দির বা কোনও স্থানে যেতে হলে তা ১০ কিলোমিটারের মধ্যে হতে হবে। সেখানে যাওয়ার জন্য ৪৮ ঘণ্টা আগে ইডিকে জানাতে হবে। তিনি কোন সময় কী করছেন, তার জন্য রেজিস্টার মেনটেইন করতে হবে। তাঁর বাড়ির আশেপাশে কোনও ভিড় করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, স্ত্রীর আকস্মিক মৃত্যুর কারণেই প্যারোলে মুক্তি পান ‘কালীঘাটের কাকু’। মঙ্গলবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর স্ত্রী বাণী ভদ্রের। স্ত্রীয়ের মৃত্যু পর শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সুজয়কৃষ্ণ। প্যারোলে মুক্তির জন্য আবেদন জানান কলকাতা হাইকোর্টে।
যার জবাবে আদালত জানায়, জেল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও অসুবিধা না থাকলে সুজয়কৃষ্ণকে প্যরোলে মুক্তি দিতে কোনও অসুবিধা নেই। তারপরই স্ত্রীয়ের পারলৌকিক ক্রিয়ায় যোগ দেওয়ার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয় কালীঘাটের কাকুকে। স্বাভাবিকভাবেই সুজয়কৃষ্ণর প্যারোলে মুক্তির আবেদনের বিরোধিতা করেন ইডির আইনজীবী।
ইডির আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, ‘অভিযুক্তকে এসকর্ট ছাড়া প্যারোল দেওয়া উচিত হবে না। এসকর্ট ছাড়া প্যারোল দেওয়া হলে তথ্য প্রমাণ বিকৃত করা হতে পারে।’ ইডির সেই দাবি মেনেই কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার জন্য অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার একজন ইডি অফিসার ও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা থাকার নির্দেশ দিল আদালত।