অভিমন্যু ঈশ্বরনের ব্যর্থতা ঢেকে দিলেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। বাংলার এক ওপেনার শূন্য রানে ফিরলেও অপর ওপেনার দায়িত্ব নিয়ে খেললেন। অল্পের জন্য শতরান হাতছাড়া হল তাঁর। রান করলেন সুমন্ত গুপ্তও। সুদীপ শতরান করতে না পারলেও সুমন্তের কাছে সুযোগ রয়েছে তিন অঙ্কে পৌঁছোনোর। ইডেনে দ্বিতীয় দিন ভাল ব্যাট করল বাংলা। উত্তরাখণ্ডের থেকে ৬১ রানে এগিয়ে তারা। তৃতীয় দিন লিড আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে লক্ষ্মীরতন শুক্লের ছেলেদের।
প্রথম দিনের শেষে বাংলার রান ছিল ১ উইকেটে ৮। অভিমন্যু শূন্য রানে ফেরায় চাপ ছিল দলের উপর। সেই চাপ কাটালেন সুদীপ। দায়িত্ব নিয়ে খেললেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। মিডল অর্ডারের তিন ব্যাটার শুরু পেলেও বড় রান করতে পারেননি। তিন নম্বরে নেমে সুদীপ ঘরামি করেন ১৫ রান। অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ মজুমদার ৩৫ রানে ফেরেন। অভিষেক পোড়েল ২১ রান করে আউট হন। ৯৮ রানে ৪ উইকেট পড়ে যায় বাংলার।
অপর প্রান্তে উইকেট পড়লেও সুদীপ এক দিকে ভাল খেলছিলেন। ছ’নম্বরে নেমে তাঁর সঙ্গে জুটি বাঁধেন সুমন্ত। দু’জনে মিলে দলের রান এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। সময় নিয়ে খেলেন দু’জনে। তাড়াহুড়ো করেননি। হাত সেট হয়ে যাওয়ার পর কিছুটা হাত খোলেন তাঁরা। ভাল দেখাচ্ছিল সুদীপকে। দেখে মনে হচ্ছিল শতরান করবেন। কিন্তু ৯৮ রানের মাথায় ধৈর্য হারিয়ে ফেরেন সুদীপ। পঞ্চম উইকেটে সুদীপ ও সুমন্ত ১৫৬ রান যোগ করেন।
সুদীপ ফিরলে রান তোলার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেন সুমন্ত। দিনের শেষ ওভারে বিশাল ভাট্টি আউট হওয়ার পর খেলা শেষ হয়ে যায়। বাংলার রান তখন ৬ উইকেটে ২৭৪। সুমন্ত ৮২ রানে অপরাজিত রয়েছেন। এখনও মহম্মদ শামি, সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল, আকাশদীপের বাকি। তাঁরাও ব্যাট চালাতে পারেন। তৃতীয় দিন লিড বেশ কিছুটা বাড়িয়ে নিতে চাইবে বাংলা। তবে তার জন্য সুমন্তের ক্রিজ়ে থাকা জরুরি। এখন দেখার, শুক্রবার ইডেনে দিনটা কার হয়।