টানা তাপপ্রবাহের মাঝে অবশেষে স্বস্তি এল দিল্লিতে। আচমকা ধুলোঝড়ের সঙ্গে সঙ্গে এল বৃষ্টি। ঝিরঝিরে সেই বৃষ্টিতেই তাপমাত্রা বেশ খানিকটা কমেছে। আগামী কয়েক দিনের জন্যেও বিক্ষিপ্ত ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে মৌসম ভবন।
গত কয়েক দিন ধরেই দিল্লিতে হাঁসফাঁস গরম। তাপমাত্রার পারদ চড়েছে ধারাবাহিক ভাবে। বৃহস্পতিবারও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েক দিন ধরে রাজধানীর পারদ ৪০ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। সেই সঙ্গে একাধিক এলাকায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিকেলের ঝড় এবং বৃষ্টিতে সাময়িক স্বস্তি ফিরল।
দিল্লির ঝড়বৃষ্টির একাধিক ছবি এবং ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, দমকা হাওয়ায় হেলে পড়ছে গাছপালা। ধুলোয় চারদিক আবছা হয়ে গিয়েছে। আচমকা আবহাওয়ার এমন পরিবর্তনে বিপাকে পড়েছেন পথচারীরা। নিরাপদ আশ্রয়ে তাঁরা সরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এই ভিডিয়োগুলির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
কিছু ক্ষণ ধুলোঝড়ের পরেই নামে বৃষ্টি। রাজধানী শহরের বিস্তীর্ণ অংশে বৃহস্পতিবার বিকেলে কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে। বহু মানুষকে সেই বৃষ্টিতে ভেজার জন্য রাস্তায় নামতেও দেখা গিয়েছে। ধুলোঝড় হয়েছে গাজ়িয়াবাদ, নয়ডা, গ্রেটার নয়ডা-সহ উত্তরপ্রদেশের একাধিক অংশেও। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শুক্রবারও দিল্লিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে ২৪ ডিগ্রির নীচে।
এখনও পর্যন্ত চলতি মরসুমে এপ্রিলের গরম রাজধানীতে নজির গড়ে ফেলেছে। ধারাবাহিক ভাবে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৬ ডিগ্রি বেশি। মৌসম ভবনের বিবৃতি অনুযায়ী, পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাবেই এই আচমকা বৃষ্টি। আপাতত রাজধানী এবং সংলগ্ন এলাকায় বৃষ্টি চলতে পারে ১২ তারিখ পর্যন্ত। তার পর আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। আবার বাড়তে পারে তাপমাত্রা।