দিল্লিতে আচমকা তীব্র ধুলোঝড়। হাওয়ার গতি পৌঁছে গেল ঘণ্টায় ৭৯ কিলোমিটারে! দুর্যোগের মুখে পড়েছে দিল্লি থেকে শ্রীনগরগামী একটি বিমান। ওই বিমানের সামনের অংশ বা ‘নাক’ ভেঙে গিয়েছে শিলাবৃষ্টির কারণে। তবে যাত্রীরা নিরাপদ। বিমানটিকে নিরাপদেই শ্রীনগর বিমানবন্দরে অবতরণ করিয়েছেন পাইলট।
বুধবার বিকেলে আচমকা বদলে যায় দিল্লির আবহাওয়া। তীব্র গরমের মাঝে ধুলোঝড় ওঠে। সঙ্গে শুরু হয় মুষলধারে শিলাবৃষ্টি। দিল্লির উপকণ্ঠে নয়ডা, গাজ়িয়াবাদের মতো এলাকাতেও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এই সব এলাকার দৃশ্যমানতা অনেকটা কমে গিয়েছিল। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে শহরের নানা প্রান্তে। পূর্ব দিল্লির যমুনাবিহার, ভজনপুরা, গোকলপুরীর মতো এলাকায় ধুলোর উঁচু ঘূর্ণি পাক খেতে দেখা যায়। অনেক গাছও উপড়ে গিয়েছে বলে খবর। এই ঝড়বৃষ্টির বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
দিল্লি থেকে শ্রীনগরে যাওয়ার পথে দুর্যোগের মুখে পড়ে ইন্ডিগোর একটি বিমান। ৬ই২১৪২ বিমানটি দিল্লি থেকে যখন রওনা দিয়েছিল, তখন আকাশ পরিষ্কার ছিল। কিন্তু শ্রীনগরে নামার মুখে বিমানটি প্রবল শিলাবৃষ্টির মধ্যে পড়ে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ানক হয়ে উঠেছিল যে, মাঝ আকাশে বিপজ্জনক ভাবে বিমানটি দুলছিল। এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলে পাইলট জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। এই সময়েই অবতরণের আগে বিমানটির ‘নাক’ ভেঙে যায়। তবে তাতে অবতরণ আটকায়নি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ওই বিমান শ্রীনগর বিমানবন্দরে নেমেছে। যাত্রীরা সকলে সুরক্ষিত। এই ঘটনার ভিডিয়োও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিমানের ভিতরে কী ভাবে আতঙ্কে চিৎকার করছেন যাত্রীরা, ফুটেজে তা স্পষ্ট ধরা পড়েছে। বিমানটিতে ২০০-র বেশি যাত্রী ছিলেন বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, হরিয়ানার উপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। পূর্ব-পশ্চিম অক্ষরেখা বিস্তৃত পঞ্জাব থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত। এর ফলে বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে। তাই আচমকা আবহাওয়ার এই পরিবর্তন।