তাঁর জেলায় প্রথম বার রথযাত্রার সূচনা হল। তবে প্রতিষ্ঠার দিন থেকেই দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের সঙ্গে যে ‘দূরত্ব’ রচনা করেছেন, রথযাত্রার দিনও তা জিইয়ে রাখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার কলকাতা থেকে তমলুক, মোট তিনটি জায়গায় রথযাত্রার কর্মসূচি ছিল তাঁর। তমলুকে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ বিতরণ করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। আবার দিঘার রথযাত্রা নিয়ে সমাজমাধ্যমে একাধিক পোস্ট করলেন শুভেন্দু। যার মধ্যে অন্যতম ছিল রথের চাকা আটকে যাওয়ার ঘটনা। সেই সঙ্গে কসবার ল কলেজে ছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনায় রাজ্য সরকার তথা শাসকদলের সমালোচনা করেন তিনি।
এ বার প্রথম বার রথযাত্রা হল পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় ৷ শুক্রবার নারকেল ফাটিয়ে, চন্দনের গুঁড়ো ছড়িয়ে সোনার ঝাঁটা দিয়ে ঝাঁট দিয়ে দিঘায় রথযাত্রা উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরতিও করেন। রথের দড়িতেও টান দেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি প্রমুখ। ছিলেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী। অন্য দিকে, শুভেন্দুর রথযাত্রার প্রথম কর্মসূচি ছিল উত্তর কলকাতার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে। ‘সারা ভারত কীর্তন, বাউল ও ভক্তিগীতি কল্যাণ ট্রাস্ট’-এর অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিজেপি বিধায়ক। তত ক্ষণে কসবা-কাণ্ড নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। সেখান থেকে রাজ্য প্রশাসনকে তুলোধনা করে শুভেন্দু চলে যান তমলুক।
সাংসদ থাকাকালীন তাম্রলিপ্ত রথযাত্রায় অংশগ্রহণ করতেন শুভেন্দু। তার পর থেকে প্রতি বছর সেখানকার রথযাত্রার অনুষ্ঠানে হাজির থাকেন তিনি। এ বারও ছিলেন। সেখানে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ বিতরণ করেন। তার পর শুভেন্দুর তৃতীয় কর্মসূচিটি ছিল মেচাদায়। ‘শ্রীশ্রী শঙ্খানন্দ জগন্নাথ মন্দিরের’ রথযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন। তার মাঝে তিনি দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ বিতরণ নিয়ে খোঁচা দেন। শুভেন্দুর মতে, সনাতন ধর্ম নিয়ে বার বার অশ্রদ্ধা দেখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দিঘার জগন্নাথ মন্দির তৈরি থেকে প্রসাদ বিলি নিয়েও একই ঘটনা ঘটেছে। সেই কারণেই রথের চাকা আটকে যায়। এবং সেটা ‘ভাল লক্ষণ’ নয় বলে মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা।