ভয়ংকর কাণ্ড মালদহে। ফের যৌন নির্যাতনের শিকার এক নাবালিকা। মালদহের বামনগোলা থানা এলাকার ঘটনা। নবম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে নগ্ন করে মারধর করে তিন যুবক। শুধু মারধরই নয়, ওই কিশোরীকে ধর্ষনের চেষ্টা করে ওই তিন যুবক। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
নাবালিকার বাবা-মার অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে একা পেয়ে তার উপর অকথ্য যৌন নির্যাতন চালিয়েছে ওই তিন যুবক। পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে,গত দোলের দিন ঘরে স্নান সেরে ঢোকার সময় ঘরে ঢুকে যায় তিন যুবক। সেই সময় মা ঘরে রান্না করছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই মা বুঝতে পারেননি। সেই সময় অভিযুক্ত তিন যুবক বাড়িতে ঢুকে যায়। এরপর ওই মেয়েটিকে অভিযুক্ত তিন যুবক অকথ্য যৌন নির্যাতন করে বলে অভিযোগ ওঠে। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে মেয়েকে বাঁচাতে ছুটে এলে ছাত্রীর মাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
এই ঘটনার পরেই থানায় লিখিত অভিযোগ জানান নাবালিকার বাবা-মা। কিন্তু বিপদ পিছু ছাড়েনি। থানায় অভিযোগ জানানোর পর শুরু হয় অন্য অশান্তি। অভিযোগ জানানোর পরেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নির্যাতিতার বাড়িতে চড়াও হয় অভিযুক্তরা। প্রাণভয়ে এবং আতঙ্কে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হল নাবালিকার পরিবার। এরপরেই জেলা পুলিস সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।
বিজেপির দাবি অভিযুক্তরা তৃণমূলের। অন্যদিকে তৃণমূলও দুস্কৃতীদের শাস্তির দাবি তুলেছে। অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে না হলে পথে নামবে বিজেপি। দক্ষিণ মালদা জেলা বিজেপির সাধরন সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ির দাবি,দিন দিন যা ঘটছে তাতে মনে হচ্ছে পুলিস বলে কিছু নেই। আর অভিযুক্তরা তৃণমূলের বলেই কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছে না। জেলা তৃণমূলের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন,দুস্কৃতীদের কোন রঙ হয় না। যেই হোক পুলিস প্রশাসন স্বক্রিয় রয়েছে জেলা যেই দুস্কৃতী হোক শাস্তির দাবি জানায়। পুলিস সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানান, তদন্ত শুরু হয়েছ।