পরের ম্যাচে আবার শূন্য থেকে শুরু, জিতেও উচ্ছ্বাস নেই বরুণের, সাফল্যের রহস্য ফাঁস করলেন বৈভব

ইডেন গার্ডেন্সে আবার চেনা ছন্দে পাওয়া গেল বরুণ চক্রবর্তীকে। বেঙ্গালুরু ম্যাচে সাহায্য না পেলেও এ দিন তিনি চার ওভারে ২২ রানে তিনটি উইকেট পেলেন। বল ঘুরেছে ভালই। তবে দলকে জিতিয়েও নিরুত্তাপ বরুণ। তাঁর মতে, পরের ম্যাচে আবার শূন্য থেকেই শুরু করতে হবে। ম্যাচের সেরা হওয়া বৈভব অরোরা জানিয়েছেন, বলে বৈচিত্র এনেই সফল হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ম্যাচের পর কেকেআরের স্পিনার বলেছেন, “আজ হয়তো ভাল বল করেছি। কিন্তু পরের দিন আমাদের শূন্য থেকেই শুরু করতে হবে। আইপিএলে প্রত্যেকটা দলেরই তৈরি হতে অন্তত চারটে ম্যাচ লাগে। আমরাও চারটে ম্যাচ খেলেছি। এই সাফল্যে ভর করেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে।”

ইডেনের এই পিচে হায়দরাবাদের পক্ষে যে ২০০ তোলা কঠিন ছিল, এটা বল করতে নামার আগেই বুঝে গিয়েছিলেন বরুণ। বলেছেন, “আমরা বুঝে গিয়েছিলাম ২০০ এখানে গড় রান। আমরা এই রান ধরে রাখতে পারব। জোরে বোলারেরা ভাল বল করেছে। বিশেষত বৈভব যে ক’টা উইকেট নিয়েছে প্রতিটাই গুরুত্বপূর্ণ।”

অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানেরও প্রশংসা করেছেন বরুণ। তাঁর কথায়, “প্রথম বার আমাদের দলের অধিনায়কত্ব করছে। আজ নিজের সেরা ফর্মে ছিল।” বরুণের সংযোজন, “গত দুটো দিন আমাদের কাছে খুব কঠিন ছিল। আগের ম্যাচে খারাপ ভাবে হেরেছি। তাই এই ম্যাচে আমরা মরিয়া হয়ে জিততে চেয়েছিলাম। গত বছরও আমরা কয়েকটা ম্যাচে হেরেছিলাম। কিন্তু কখনও কাউকে দোষারোপ করিনি। বরং একে অপরের পাশে থেকেছি।”

এ দিন বিপক্ষের দুই বিপজ্জনক ব্যাটার ট্রেভিস হেড এবং ঈশান কিশনকে আউট করেছেন বৈভব। চার ওভারে ২৯ রানে তিনটি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি একটি মেডেনও দিয়েছেন। ম্যাচের পর বৈভব জানালেন, বলের বৈচিত্রই তাঁর সাফল্যের কারণ।

বৈভব বলেছেন, “পাঁচ-ছ’ওভারের পর বল আর সুইং করে না। তাই আমি ‘কাটার’ এবং ‘ইয়র্কার’ অনুশীলন করেছি। ক্রিকেট এখন অনেক বদলে গিয়েছে। ব্যাটারেরা সব সময় বোলারদের আক্রমণ করছে। তাই কাটার এবং ইয়র্কারের মতো অস্ত্রগুলো আমাদের কাজে লাগে।”

প্রতিটি ম্যাচেই ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ হিসাবে নামছেন বৈভব। প্রভাবও ফেলছেন। সেই প্রসঙ্গে বলেছেন, “আসলে দল আগে থেকেই জানিয়ে দেয় আমি ইমপ্যাক্ট হিসাবে খেলব। আমি সে ভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করি। বোঝার চেষ্টা করি বল কেমন আচরণ করছে, কত ক্ষণ সুইং করছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.