দিনভর বিক্ষোভ, ঘেরাও। রাতে বিক্ষোভকারীদের রোষের মুখে পুলিস। গুরুতর জখম সাব ইন্সপেক্টর সত্যজিত্ রায় ও এক মহিলা পুলিসকর্মী। রক্ত ঝরল বিকাশ ভবনে।
বিকাশভবনের ভিতরের পরিস্থিতি তখন নিয়ন্ত্রণে। যেসব কর্মীরা আটকে পড়েছিলেন, তাঁদের একটা বড় অংশই বেরিয়ে গিয়েছেন। বিকাশভবনের সামনে রাস্তায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় সাব ইন্সপেক্টর সত্যজিত্ রায়কে। তাঁর মুখ থেকে রক্ত বেরোচ্ছিল। তাঁকে দ্রুত অ্যাম্বুল্যান্স তোলেন অন্যন্য পুলিসকর্মীরা। এরপর সেই অ্যাম্বুল্যান্স বিকাশভবন থেকে বেরিয়ে যায়। তবে কীভাবে আহত হলেন পুলিসকর্মী? মুখ খুলতে চাননি কেউ।
এদিকে বিকাশভবন আন্দোলনকারীদের ইঁটের আঘাতে জখম এক মহিলা পুলিসকর্মীও। তাঁর নাক ফেটে গিয়েছে। তাঁকে অ্যম্বুল্যান্সে তুলে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
ঘটনাটি ঠিক কী? বাইরে আন্দোলন তো চলছিলই। আজ, শুক্রবার বিকাশ ভবনে অভিযানে ডাক দিয়েছিলেন বিক্ষুদ্ধ চাকরিহারারা। দুপুরে ব্যারিকেড ভেঙে বিকাশভবনের ভিতরে ঢুকে পড়েন তাঁরা। এরপর দিনভর চলে ঘেরাও। এরপর রাতে রীতিমতো টেনে হিঁচড়ে আন্দোলনকারীদের বিকাশভবন থেকে বের করে দেয় পুলিস। আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁদের মারধরও করেছে পুলিস। আহত বেশ কয়েকজন। পাল্টা ইঁটবৃষ্টি অভিযোগ ওঠেছে পুলিসের বিরুদ্ধে।
চাকরিহারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘নতুন করে আমরা কোনও পরীক্ষা দেব না, দিতে হলে আগে মুখ্যমন্ত্রী-সহ সব জন প্রতিনিধিকে নতুন করে ভোটে জিতে আসতে হবে। কারণ, আমাদের ভোটে জিতেই তো ওনারা জন প্রতিনিধি হয়েছেন। তাহলে আমাদের নতুন করে যোগ্যতা প্রমাণ করতে হলে, তার আগে ওদেরও নিজেদের যোগ্যতার পরিচয় দিতে হবে’। তাঁদের অভিযোগ, ‘রিভিউ পিটিশনের আগে আমাদের ড্রাফ্ট দেখানো হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল রাজ্য। বাস্তবে অবশ্য তা হয়নি। আমাদের অন্ধকারে রেখে চুপি চুপি রাজ্য সুপ্রিমকোর্টে রিভিউন পিটিশন দাখিল করেছিল’।