দলীপ ট্রফির ফাইনালের প্রথম দিন দাপট দেখালেন স্পিনারের। মধ্যাঞ্চলের দুই স্পিনার কুমার কার্তিকেয় ও সারাংশ জৈনের সামনে দাঁড়াতে পারল না দক্ষিণাঞ্চলের শক্তিশালী ব্যাটিং অর্ডার। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৪৯ রানে অল আউট হয়ে গেল দক্ষিণাঞ্চল। জবাবে দিনের শেষে মধ্যাঞ্চলের রান বিনা উইকেটে ৫০। এখনও দক্ষিণাঞ্চলের থেকে ৯৯ রান পিছিয়ে থাকলেও প্রথম দিন যে ভাবে তারা খেলেছে তাতে দ্বিতীয় দিন লিড অনেকটা বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে মধ্যাঞ্চলের সামনে।
টস জিতে প্রথম বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মধ্যাঞ্চলের অধিনায়ক রজত পাটীদার। তাঁর সিদ্ধান্ত ঠিক প্রমাণিত করলেন দুই স্পিনার। ইনিংসের শুরুটা ধীরে করেছিল দক্ষিণাঞ্চল। ওপেনার তন্ময় আগরওয়াল ভাল খেলছিলেন। অপর ওপেনার মোহিত কালে রান আউট হন। ওপেনিং জুটি ভাঙার পর স্পিনারদের হাতে বল তুলে দেন পাটীদার। বদলে যায় খেলা।
প্রথম ১৮ ওভার বল করেছিলেন দলের তিন পেসার। পরের ৪৫ ওভার বল করলেন দুই স্পিনার। বাঁহাতি কার্তিকেয় ও ডানহাতি সারাংশের সামনে দিশাহার দেখাচ্ছিল দক্ষিণাঞ্চলের ব্যাটারদের। তাঁদের বলের বৈচিত্র বুঝতে না পেরে উইকেট দিয়ে আসছিলেন তাঁরা।
সলমন নিজ়ার ও অঙ্কিত শর্মা শুরু পেলেও বড় রান করতে পারেননি। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে দক্ষিণাঞ্চলের। ১৫০ রানের আগেই থেমে যায় তাদের ইনিংস। সারাংশ ২৪ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে ৫ ও কার্তিকেয় ২১ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন।
দক্ষিণাঞ্চলের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল মধ্যাঞ্চলও হয়তো সমস্যায় পড়বে। কিন্তু তাদের ব্যাটিংয়ে উল্টো ছবি দেখা গেল। বোলারদের সামনে বিশেষ কোনও সমস্যা হল না মধ্যাঞ্চলের দুই ওপেনার দানিশ মালেওয়ার ও অক্ষয় ওয়াদকরের। এই দলীপের কোয়ার্টার ফাইনালে দ্বিশতরান করেছিলেন দানিশ। ভাল ফর্মে রয়েছেন তিনি। দিনের শেষে তিনি ২৮ রানে অপরাজিত। অক্ষয় অপরাজিত ২০ রানে।
এখনও ৯৯ রানে পিছিয়ে মধ্যাঞ্চল। কিন্তু প্রথম দিন তারা যে ভাবে ব্যাট করেছে দ্বিতীয় দিনও সেটাই অব্যাহত থাকলে প্রথম ইনিংসে বড় লিড নিতে পারে তারা। অধিনায়ক পাটীদার, শুভম শর্মারা ফর্মে রয়েছেন। ম্যাচে ফিরতে হলে দ্বিতীয় দিন ভাল বল করতে হবে আজহারউদ্দিনের দক্ষিণাঞ্চলকে। নইলে আইপিএলের পর এ বার অধিনায়ক হিসাবে দলীপও জিতে নেবেন পাটীদার।