উলভার্ট-কাপের দাপটে ইতিহাস দক্ষিণ আফ্রিকার, ইংল্যান্ডকে ১২৫ রানে হারিয়ে প্রথম বার এক দিনের বিশ্বকাপ ফাইনালে প্রোটিয়ারা

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে মহিলাদের এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা করে ৭ উইকেটে ৩১৯। জবাবে ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ হল ৪২.৩ ওভারে ১৯৪ রানে। সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার ১২৫ রানে জয়ের প্রধান দুই নায়ক অধিনায়ক লরা উলভার্ট এবং মারিজ়ানে কাপ। এই প্রথম মহিলাদের এক দিনের বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠল প্রোটিয়ারা।

টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ন্যাট সিভার ব্রান্ট। গুয়াহাটির ২২ গজে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারেরা। সেই কাজে নেতৃত্ব দিলেন অধিনায়ক উলভার্ট। ওপেন করতে নেমে ১৪৩ বলে ১৬৯ রানের ইনিংস খেললেন তিনি। ২০টি চার এবং ৪টি ছক্কার সাহায্যে তাঁর এই ইনিংসই সেমিফাইনালে চাপে ফেলে দেয় চার বারের বিশ্বজয়ী ইংল্যান্ডকে। প্রায় শেষ পর্যন্ত ২২ গজের এ প্রান্ত আগলে রেখে রান তোলার গতি বজায় রাখেন উলভার্ট। মহিলাদের এক দিনের বিশ্বকাপে প্রথম অধিনায়ক হিসাবে কোনও নক আউট ম্যাচে শতরান করার কীর্তি গড়লেন উলভার্ট। ব্যাট হাতে তাঁকে সাহায্য করলেন অপর ওপেনার তাজ়মিন ব্রিটসও। তিনি ৬টি চার এবং ১টি ছয়ের সাহায্যে করেন ৬৫ বলে ৪৫। কাপও ভাল ব্যাট করলেন পাঁচ নম্বরে নেমে। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৩৩ বলে ৪২ রানের ইনিংস। মারলেন ৪টি চার এবং ১টি ছয়। শেষ দিকে ক্লো ট্রায়নের ২৬ বলে ৩৩ রানের অপরাজিত ইনিংস দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩০০ পার করে দেয়। তাঁর সঙ্গে অপরাজিত ছিলেন নাদিন ডি ক্লার্কও (৬ বলে ১১)।

ইংল্যান্ডের কোনও বোলারই এ দিন উলভার্টের বিরুদ্ধে সুবিধা করতে পারেননি। তার মধ্যেই সফলতম সোফি একলেস্টোন ৪৪ রানে ৪ উইকেট নিলেন। ৫৫ রানে ২ উইকেট লরেন বেলের। ৬৭ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন ব্রান্ট।

জয়ের জন্য ৩২০ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে ইংল্যান্ড। কাপের দাপটে ইনিংসের প্রথম ৭ বলের মধ্যেই ৩ উইকেট পড়ে যায় তাদের। ব্রান্টদের রান তখন ১। সে সময়ই ম্যাচের ফল এক রকম নিশ্চিত হয়ে যায়। বাকি আনুষ্ঠানিকতাটুকু শেষ হতে যা অপেক্ষা ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার ঐতিহাসিক জয়ের অপেক্ষা বাড়ালেন ব্রান্ট, অ্যালিস ক্যাপসি এবং ড্যানি ওয়াট-হজ। চতুর্থ উইকেটের জুটিতে ব্রান্ট এবং ক্যাপসি তুললেন ১০৭ রান। ইংল্যান্ড অধিনায়ক করলেন ৭৬ বলে ৬৪। মারলেন ৬টি চার এবং ১টি ছয়। ক্যাপসির ব্যাট থেকে এল ৭১ বলে ৫০ রানের ইনিংস। তিনি মারলেন ৬টি চার। ছয় নম্বরে নেমে হজ করলেন ৩১ বলে ৩৪। ব্রান্ট আউট হওয়ার পর থেকে ২২ গজের এক প্রান্তে আবার পর পর উইকেট পড়ল ইংল্যান্ডের। তাতেও প্রধান ভূমিকা নিলেন কাপ। শেষ দিকে লড়াই করলেন শুধু লিনসে স্মিথ। ৩৬ বলে ২৭ রান করলেন তিনি।

২০ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের ইনিংসকে থিতুই হতে দিলেন না কাপ। ২৪ রানে ২ উইকেট ক্লার্কের। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন আয়বঙ্গা খাকা, ননকুলুলেকো এমলাবা এবং সান লুস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.