ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) বিশ্বাস করেন যে, পঞ্জাব কিংসের নবনিযুক্ত অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer) বিগত এক বছরে ব্যাটার হিসেবে দারুণ উন্নতি করেছেন এবং সকল সংস্করণে খেলতে প্রস্তুত।
গত বছর ফেব্রুয়ারির ঘটনা। ভয়ংকর ভুলেই গিলোটিনে গলা গিয়েছিল ভারতীয় দলের দুই নক্ষত্র ক্রিকেটারের! বোর্ডের নির্দেশিকা না মানার পরিণাম হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলেন ঈশান কিশান ও শ্রেয়স। বিসিসিআই-এর ‘অবাধ্য’ হয়ে বোর্ডের বার্ষিক চুক্তি থেকে বাদ পড়েছিলেন তাঁরা।
বিসিসিআই সাফ জানিয়েছিল যে, সমস্ত কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়রা যেন ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশ নেয়। বোর্ডের নির্দেশ সত্ত্বেও রঞ্জি ট্রফিতে অংশ নেননি ঈশান কিশান। অন্যদিকে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি জানিয়েছিল যে, শ্রেয়সের চোট নেই। তবুও শ্রেয়স মুম্বইয়ের হয়ে খেলেননি। জানা গিয়েছিল তিনি নাকি কেকেআরের প্রাক মরসুম শিবিরে ছিলেন! ফলে পরিণতি যা হওয়ার তাই হয়েছিল।
শ্রেয়স ভারতের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরে কঠিন পরিশ্রম করেছেন এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন ভাবে ফিরে এসেছেন। ভারতকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতানোর অন্যতম কারিগর ছিলেন শ্রেয়স। ৫ ম্যাচে করেছিলেন ২৪৩ রান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ঠিক যেখানে শেষ করেছিলেন শ্রেয়স, আইপিএলে ঠিক সেখান থেকেই শুরু করেছেন।
পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে চলতি আইপিএলের প্রথম ম্যাচে গুজরাট টাইটান্স মুখোমুখি হয়েছিল। তবে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে শ্রেয়স আইয়ারের টিম ১১ রানে শুভমন গিলের গুজরাতকে হারিয়েছে। এই ম্যাচে ৪২ বলে ৯৭ রানের অপরাজিত বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন ৫ চার ও ৯ ছয়ের সুবাদে। শ্রেয়সের স্ট্রাইক রেট ছিল ২৩০.৯৫! শ্রেয়সের খেলা দেখে মোহিত সৌরভ তাঁর এক্স-হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘বিগত ১ বছরে শ্রেয়স আইয়ার ব্যাটার হিসেবে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে। ও সব ফরম্যাটের জন্য প্রস্তুত। লেন্থ নিয়ে কিছু সমস্যার পর ওর উন্নতি দেখে ভালো লাগছে।’
শ্রেয়স গত মরসুমে কেকেআরকে চাম্পিয়ন করিয়েছেন। কলকাতা ছেড়ে এখন পঞ্জাবের দায়িত্বে| ২০২৪ সালে শ্রেয়স অধিনায়ক হিসেবে শুধু কেকেআরকে আইপিএল জেতাননি , মুম্বইকে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিও জিতিয়েছেন! একই বছরে দুই ঘরোয়া ট্রফি জেতা দেশের প্রথম অধিনায়কও বটে! ওই বছর নিজের রাজ্যের হয়েই রঞ্জি ও ইরানিও জিতেছেন!