ইংল্যান্ডে ভারতের দল নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেন কুলদীপ যাদবকে একটা টেস্টেও খেলানো হল না? কেন অংশুল কম্বোজকে টেনে নিয়ে গিয়ে অভিষেক করিয়ে দেওয়া হল? গৌতম গম্ভীরের একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। সেই তালিকায় জুড়লেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। ইংল্যান্ড সিরিজ়ে ভারতের দল নির্বাচন দেখে খুশি হতে পারেননি তিনি। প্রথম একাদশে দু’জন ক্রিকেটারকে দেখতে চেয়েছিলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক।
ওভাল টেস্টের প্রথম দিনের খেলা চলাকালীন একটা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সৌরভ। সেখানে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “আমি জাতীয় দলে মুকেশ কুমারকে দেখতে না পেয়ে অবাক হয়েছি। ঘরোয়া ক্রিকেটে ও দুর্দান্ত বল করছে। ইংল্যান্ডের পরিবেশে ও ভারতের বড় শক্তি হতে পারত। আশা করছি ভবিষ্যতে ওকে সুযোগ দেওয়া হবে।”
বাংলার মুকেশের পাশাপাশি আরও এক বোলারকে না খেলানোয় অবাক সৌরভ। কুলদীপ যাদবকে দেখতে চেয়েছিলেন তিনি। সৌরভ বলেন, “ইংল্যান্ড ওভালে চার পেসার খেলাচ্ছে। ওরা পিচে ঘাস রেখেছে। ইচ্ছা করেই ওরা এটা করেছে। আগে অশ্বিন ও জাডেজার মতো স্পিনারকে ভারত পেয়েছে। ভারত যাতে বেশি স্পিনার খেলাতে না পারে তার জন্যই ঘাস রাখা হয়েছে। আমি ম্যাঞ্চেস্টার, লর্ডস, এমনকি, বার্মিংহামেও কুলদীপকে দেখতে চেয়েছিলাম। ভাল স্পিনার না থাকলে পঞ্চম দিন একটা দলকে অল আউট করা কঠিন।”
ইংল্যান্ড দলেও ভাল স্পিনার না থাকায় ভারতের ব্যাট করতে সুবিধা হয়েছে বলে মনে করেন সৌরভ। তিনি বলেন, “ইংল্যান্ডের দলেও ভাল স্পিনার নেই। তাই ভারতের রান করতে সুবিধা হয়েছে। আগে অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কায় ওয়ার্ন-মুরলিথরনের মতো স্পিনার ছিল। ইংল্যান্ডে সোয়ান, পানেসর ছিল। ভারতের কুম্বলে, হরভজন ছিল। এই পরিস্থিতিতে ভারত কুলদীপকে খেলাতে পারত। ও দলের ভবিষ্যতের জন্য খুব জরুরি।”
চলতি সিরিজ়ে লর্ডসে দ্বিতীয় ইনিংস বাদে ভাল ব্যাট করেছে ভারত। প্রতি ইনিংসে রান করেছেন শুভমন গিলেরা। ভারতের ব্যাটিং দেখে খুশি সৌরভ। তাঁর মনে পড়ে যাচ্ছে ২০-২২ বছর আগের কথা। সৌরভ বলেন, “২০০২-২০০৭ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডে আমাদের ওপেনার থেকে শুরু করে মিডল অর্ডার শতরান করত। আমি করেছি। দ্রাবিড় করেছে। সহবাগও করেছে। এই সিরিজ়েও সেটা দেখতে পারছি। ভারতের ব্যাটিং অর্ডারের প্রায় সকলেই শতরান করেছে। তবে শুভমনের কথা আলাদা করে বলতে হয়। ও দুর্দান্ত ব্যাট করেছে।”
ম্যাঞ্চেস্টারে অভিষেক টেস্ট ভাল যায়নি কম্বোজের। ১৮ ওভার বল করে ৮৯ রান দিয়েছেন তিনি। নিয়েছেন ১ উইকেট। ওভার প্রতি প্রায় ৫ রান করে দিয়েছেন তিনি। কম্বোজের বলের গড় গতি (১২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা) নিয়েও সমালোচনা হয়েছে। সৌরভের মতে, একটা টেস্ট দেখে কাউকে বিচার করা উচিত নয়। তিনি বলেন, “একটা টেস্ট দেখে কম্বোজকে বিচার করা ঠিক হবে না। ওর বয়স কম। ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক উইকেট নিয়েছে। সাত-আট টেস্ট দেখে তবেই কাউকে ভাল-খারাপ বলা উচিত।”