Soumitra Kha, BJP, কথা রাখতে পেরে খুশি, বাঁকুড়া -হাওড়া ভায়া মশাগ্রাম ট্রেন চালু হবে শীঘ্রই, বললেন সৌমিত্র খাঁ

বাঁকুড়া থেকে সোনামুখী, ইন্দাস, পাত্রসায়ের ও মসাগ্রাম হয়ে সোজাসুজি হাওড়া ট্রেন চলাচল খুব শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে। বাঁকুড়া- হাওড়া ভায়া মশাগ্রাম ট্রেন চালু হওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা বলে জানিয়েছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এই খবরে খুশির হাওয়া বাঁকুড়া, বেলিয়াতোড়, সোনামুখী, ইন্দাস, পাত্রসায়ের সহ এই রেলপথ সংলগ্ন গ্রামগুলির বাসিন্দাদের। এই রুটে যে শীঘ্রই বাঁকুড়া হাওড়া ট্রেন চালু হতে চলেছে তা শুধু জানানি সাংসদ সৌমিত্রবাবু সেইসঙ্গে তিনি ট্রেন চলাচলের সময়সূচিও জানিয়েছেন। নিজের ফেসবুক পেজেওএই সময়সূচি শেয়ার করেছেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।

বাঁকুড়া- মসাগ্রাম রুটের বাসিন্দাদের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল সরাসরি হাওড়া পর্যন্ত ট্রেন চলাচল। সেই দাবি মিটতে চলেছে বলে জানিয়ে সৌমিত্রবাবু এই সংবাদ সকলের কাছে আনন্দের বলে মন্তব্য করেছেন। বিগত লোকসভা নির্বাচনে এই রুটে ট্রেন চালুর বিষয়টি সৌমিত্রবাবু নির্বাচনে ইস্যু করে নেন। সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তিনি ট্রেন চলাচল নিয়ে তৎপর ছিলেন। এই কাজে সফল হওয়ার পর তার সাংসদ এলাকার নাগরিকরা স্বভাবতই খুশি। বাঁকুড়া থেকে হাওড়া ভায়া মশাগ্রাম ট্রেন কখন চলবে এবং কোন কোন স্টেশনে দাঁড়াবে সে তালিকাও প্রকাশ্যে এনে সৌমিত্রবাবু তার পেজে লেখেন, ‘সুখবর সুখবর সুখবর! ভারতীয় জনতা পার্টি কথা দিলে কথা রাখে। বিষ্ণুপুর লোকসভার মানুষের জন্য কাজ করে যাব। আজ বাঁকুড়া টু হাওড়া ভায়া মশাগ্রাম ট্রেনের সময়সূচি দেওয়া হলো। কারো কোনো মতামত থাকলে জানাবেন।’ তবে এই ট্রেন কবে থেকে চলবে, তিনি জানাননি। সৌমিত্রবাবু দুটি সময়সূচি প্রকাশ করেছেন। প্রথম ট্রেনটি বাঁকুড়া থেকে ছাড়বে সকাল ৭টা নাগাদ এবং মশাগ্রাম সকাল ১০:৩০ থেকে ১০:৪০ এবং হাওড়া ঢুকবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট নাগাদ। বাঁকুড়া থেকে হাওড়া যেতে সময় লাগবে সাড়ে ৫ ঘণ্টা। এই ট্রেনটি হাওড়া থেকে ছাড়বে দুপুর ১২:৪৫ নাগাদ। সেটি মশাগ্রাম ১৪:৩০ থেকে ১৪:৪০ মিনিট নাগাদ এবং বাঁকুড়া ঢুকবে বিকেল ১৭:৫৫ মিনিট। তিনি অবশ্য আরও একটি বিকল্প সময়সূচি জানিয়েছেন। এই বিকল্প সূচি অনুসারে ট্রেনটি ভোর ৪টে নাগাদ বাঁকুড়া থেকে ছেড়ে মশাগ্রামে সকাল ৭:১৫ থেকে ৭:২৫ মিনিট নাগাদ এবং হাওড়া ঢুকবে সকাল ৯:০৫ মিনিটে। এই ট্রেনটি ফেরার সময় হাওড়ায় ছাড়বে সকাল ৯:১৫ মিনিটে। ট্রেনটি মশাগ্রামে সকাল ১০:৫৫ থেকে ১১:০৫ মিনিটে এবং বাঁকুড়ায় দুপুর ১৪:৪০ মিনিটে ঢুকবে।

বর্তমানে প্রতিদিন সকাল ৫টা ও দুপুর ১টা ২০ মিনিটে দুটি ট্রেন বাঁকুড়া থেকে ছেড়ে মশাগ্রাম যায়। এই রুটের অসংখ্য যাত্রী মশাগ্রামে গিয়ে বর্ধমান- হাওড়া লোকাল ধরে যান। এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে নেমে ট্রেন পাল্টাতে দীর্ঘ পথ হেঁটে ৫ বা ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যেতে হয়। তাছাড়া বর্ধমান- হাওড়া লোকাল ধরতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। শনি ও রবিবার ছাড়া অন্য দিনগুলিতে ৮টা ৫০ ও ৬টা ০৫ ছেড়ে দুটি ট্রেন মশাগ্রামে যায়। এই রেল পথের বাঁকুড়া জেলার সিংহভাগই সৌমিত্রবাবুর লোকসভা এলাকার মধ্যে পড়ে। তাই এই রেলপথ দ্রুত গড়ে তোলা ও বাঁকুড়া থেকে সোজাসুজি হাওড়া ট্রেন চলাচল চালু করা সৌমিত্র বাবুর কাছেও একটা চ্যালেঞ্জ। বলা বাহুল্য এই কাজে তিনি সফল বলে অভিমত অভিজ্ঞ মহলের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.