মৃত্যুর আগে রাসায়নিক মেশানো পানীয় খাওয়ানো হয়েছিল সোনালি ফোগটকে। খাইয়েছিলেন তাঁর দুই সঙ্গী। এ বার গোয়া পুলিশ জানাল, আঞ্জুনার রেস্তরাঁয় পার্টি করার সময়েই রাসায়নিক মেশানো ওই পানীয় খাওয়ানো হয়েছিল সোনালিকে।
হরিয়ানার বিজেপি নেত্রী সোনালির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর আপ্ত-সহায়ক সুধীর সাঙ্গওয়ান এবং তাঁর সঙ্গী সুখবিন্দ্র সিংহকে। তাঁদের জেরা করেই গোয়া পুলিশ জানতে পেরেছে, কার্লিস রেস্তরাঁয় চলা পার্টিতে জলের মধ্যে রাসায়নিক মিশিয়ে খাওয়ানো হয়েছিল সোনালিকে। সেই পানীয়ের কারণেই ২৩ অগস্ট সম্ভবত মৃত্যু হয়েছিল ৪২ বছরের বিজেপি নেত্রীর।
গোয়ার উচ্চপদস্থ এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘আর্থিক স্বার্থসিদ্ধির জন্যই’ সোনালিকে খুন করা হয়েছে। অভিযুক্ত সুধীর এবং সুখবিন্দ্র প্রমাণ নষ্ট করতে পারেন বলে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গোয়া পুলিশ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, জেরায় অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন সুধীর। জানিয়েছেন, সোমবার গোয়ায় পৌঁছনোর পর পার্টি করার জন্য সোনালিকে কার্লিস রেস্তরাঁয় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন সুখবিন্দ্র। অভিযোগ, ওই রেস্তরাঁতেই বসে সোনালির জলে রাসায়নিক মিশিয়ে দেন সুধীর। এর পর তাঁকে সেই জল খেতে বাধ্য করেন। জল খাওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সোনালি। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, টলোমলো পায়ে রেস্তরাঁ থেকে বেরোচ্ছেন সোনালি।
এর পর টিকটক তারকা সোনালিকে নিয়ে যাওয়া হয় হোটেলে। সেখান থেকে সেন্ট অ্যান্থনি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই রেস্তরাঁয় পুলিশের সঙ্গে গিয়েছিল ফরেনসিক দল। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সোনালির মৃত্যুর পরেই ওই রেস্তরাঁর মহিলাদের শৌচালয় সিল করে দিয়েছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, সোমবার রাতে ওই শৌচালয়ে আড়াই ঘণ্টা ছিলেন সোনালি এবং তাঁর দুই সঙ্গী। কেন? সেই উত্তর খুঁজছে পুলিশ।