পাটুলিতে বৃদ্ধার মৃত্যুরহস্যের অবশেষে কিনারা হল। দেহ উদ্ধারের তিন দিন পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে ছেলে জানালেন, তিনিই মাকে গলা টিপে পুড়িয়ে খুন করেছেন! তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত বুধবার দুপুরে পাটুলির বিদ্যাসাগর কলোনির বাড়ি থেকে সত্তরোর্ধ্ব মালবিকা মিত্রের দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তদন্তে উঠে আসে, বৃদ্ধাকে গলা টিপে খুনের পর জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে বৃদ্ধার ছেলে অভিষেক মিত্রের কোনও খোঁজ না মেলায় রহস্য বাড়ে। পুলিশও খোঁজ চালাচ্ছিল। শেষমেশ রবিবার থানায় আত্মসমর্পণ করেন অভিষেক। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিষেক একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অস্থায়ী কর্মী। মায়ের সঙ্গেই থাকতেন বিদ্যাসাগর কলোনির বাড়িতে। পুলিশের কাছে তাঁর দাবি, সচ্ছল জীবনযাপনের জন্য টাকার দরকার ছিল। টাকার লোভেই তিনি মাকে খুন করেছেন। এর পরেই দুপুরে গ্রেফতার করা হয় অভিষেককে।
বন্ধ ঘর থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে পড়শিরা ভেবেছিলেন, ঘরে আগুন লেগেছে। তাঁরাই পুলিশ এবং দমকলে খবর দিয়েছিলেন। পরে পুলিশ, দমকল আসার পর ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে সকলে দেখেন, মালবিকার দগ্ধ দেহ পড়ে রয়েছে মেঝেতে। পরে পুলিশ দেখে, ঘরের আলমারিও খোলা। তখন থেকেই পুলিশের সন্দেহও ছিল, লুট করতেই বৃদ্ধাকে খুন করা হয়েছে। তখন অভিষেকের মোবাইল বন্ধ থাকায় সন্দেহ আরও বৃদ্ধি পেয়েছিল তদন্তকারীদের।