প্রথমে কিছু বুঝতেই পারেনি বাড়ির লোকেরা। শেষে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, ততক্ষণের সাপের বিষে হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে গিয়েছে নাবালকের! সিপিআর দিয়ে তাঁকে কার্যত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনলেন চিকিত্সকরা। ঘটনাটি ঘটেছে ডুয়ার্সের মালবাজারে।
মালবাজার মহকুমার ক্রান্তি ব্লকের রাজাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের আনন্দপুর এলাকার বাসিন্দা আদিত্য রায়। দিন কয়েক আগে গ্রামের মাঠে খেলার সময়ে সাপ ছোবল মারে পায়ে। তথন অবশ্য কিছু বুঝতে পারেনি সে। বাড়ির লোকেরা প্রথমে বিষয়টিকে তেমন আমল দেননি। এভাবেই বেশ অনেকটা সময়ে পেরিয়ে যায়।
এদিকে আদিত্যের শারীরিক অবস্থার ততদিনে অবনতি হতে শুরু করেছে। চোখে খুলতে পারছে না। কথা আটকে যাচ্ছে। তড়িঘড়ি ছেলেকে নিয়ে মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যান আদিত্যের বাবা। রোগীকে দেখেই কর্তব্যরত চিকিত্সক বুঝতে পারেন যে, বিষধর সাপের ছোবলেই এই অবস্থা। শুরু হয় সিপিআর দেওয়া। কিছুটা সময় পর আদিত্য শ্বাস ফেলে। ট্র্যাকিয়াল ইনটিবিলইউশন করে অ্যাম্বু ব্যাগের সাহায্যে শ্বাস-প্রশ্বাস চালু রাখা হয়। দেওয়া হয় অ্যান্টিভেনাম। তখনও চলছে জীবন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই। জরুরী ভাবে ব্যবস্থা করে হাসপাতালের সি সি ইউ এর ভেন্টিলেশনেও রাখা হয়।
এখন পুরোপুরি সুস্থ আদিত্য। আজ, শুক্রবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেল সে। বাবা মণীশ রায় বলেন, ‘ওনারাই আমাদের কাছে ভগবান। আমরা আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। উনারাই ওকে নতুন জীবন দিয়েছেন’। আদিত্যর মা বিশাদি রায়ের চোখে তখন জল। বলেন,’আমরা চিরজীবন মনে রাখব ও চিকিৎসকের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব”।