ডাক্তার বাবু, ডাক্তার বাবু! আমার মেয়েকে বাঁচান, সকালে ফুল তুলতে গিয়ে ডান পায়ে বিষধর সাপ গোখরোর ছোবল। গুরুতর অসুস্থ মেয়েকে ও সাপকে ধরে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে জরুরি বিভাগে হাজির বাবা। শত চেষ্টা করেও বালিকাকে বাঁচাতে পারেনি চিকিৎসকরা। কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতার বাবা ও আত্মীয়রা।
প্রতিদিনের মতো রবিবার সকালে ফুল তুলতে গিয়েছিল মেমারি থানা এলাকার বিরে পলতা গ্রামের বছর তেরোর রিঙ্কু ক্ষেত্রপাল। হঠাৎ তার ডান পায়ে জড়িয়ে বিষধর গোখরো সাপ কয়েকটি ছোবল মারে। রিঙ্কুর চিৎকারে ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা। তাকে উদ্ধার করে শরীরে যাতে বিষ না ছড়িয়ে পড়েই তার জন্যে ডান পায়ের উপর শক্ত করে দুটি বাঁধন দেওয়া হয়।
সাপকে ধরে বালতির ভিতরে বন্দি করে ও মেয়েকে নিয়ে তড়িঘড়ি কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে হাজির হয়। মেয়েকে কোলে নিয়ে জরুরি বিভাগে চিকিৎসকের কাছে মেয়েকে বাঁচানোর জন্য আবেদন করেন রিঙ্কুর বাবা। অনেক চেষ্টা করে শেষ পর্যন্ত রিঙ্কুকে বাঁচাতে পারেননি চিকিৎসকরা। মেয়েকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রিঙ্কুর মা ও বাবা। এলাকায় শোকের ছায়া।
উল্লেখ্য, স্কুল থেকে মিড-ডে মিলের খিচুড়ি বাড়িতে নিয়ে এসেছিল সাদিয়া খাতুন। তার সঙ্গে এসেছিল ৫ ও ৭ বছরের আরও দুই শিশু। ওই দুই শিশুর সঙ্গে বসে সেই খিচুড়ি খাচ্ছিল সাদিয়া-ও। এরপর জল খেতে চায় সে। তখনই বোতলে থাকা সাদা পেট্রলকে জল ভেবে খাইয়ে দেওয়া হয়!
তারপর? অসুস্থ হয়ে পড়ে সাদিয়া। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। পরিবার লোকেরা তাকে তড়িঘড়ি নিয়ে যান রামপুরহাট হাসপাতালে। সেখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ। কিন্তু বাচানো যায়নি শিশুটিকে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বর্ধমান মেডিক্যালে মৃত্যু হয় সাদিয়ার।