কোনও যোগ্য যাতে বাদ না পড়েন, কোনও অযোগ্য যাতে ঠাঁই না পান। সোমবার দুই নির্বাচন কমিশনার, এসএস সান্ধু ও বিবেক যোশীকে পাশে বসিয়ে দেশের ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটার তালিকার ‘বিশেষ নিবিড় সংশোধন’ (এসআইআর) চালুর ঘোষণা করে এই বার্তা দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার। তাঁর ঘোষণা, ‘‘বিহারে সফল ভাবে এসআইআর হয়েছে। কেউ একটিও ভুল ধরাতে পারেননি। এ বার ধাপে ধাপে সারা দেশেই তা হবে।’’
দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে সিইসি সোমবার জানিয়েছেন, দ্বিতীয় পর্বের এসআইআর (প্রথম পর্বে হয়েছে বিহারে) হবে পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরল, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, গোয়া, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লক্ষদ্বীপ, পুদুচেরি, আন্দামান ও নিকোবরে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরল এবং পুদুচেরিতে আগামী বছরের এপ্রিল-মে মাসে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। কিন্তু ওই চার বিধানসভার সঙ্গেই ভোট হতে যাওয়া অসমে এ যাত্রায় এসআইআর হচ্ছে না। প্রসঙ্গত, ১৯৫১ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত দেশে এসআইআর হয়েছে আট বার। ২১ বছর আগে শেষ বার এসআইআর হয়েছে— ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত। বিহার থেকে শুরু হয়েছে নবম বারের পালা।
শুরু ২৮ অক্টোবর, শেষ ৭ ফেব্রুয়ারি
সিইসি জানিয়েছেন, সোমবার রাত ১২টাতেই সংশ্লিষ্ট ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ভোটার তালিকা ফ্রিজ করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ রাত ১২টা থেকে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত সব কাজ বন্ধ থাকবে। নতুন নাম তোলা, সংশোধন, পরিবর্তন করা যাবে না। ২৮ অক্টোবর (মঙ্গলবার) থেকে শুরু হচ্ছে এনুমেরেশন ফর্ম (সংখ্যা যাচাই সংক্রান্ত আবেদনপত্র) ছাপানোর কাজ। একই দিনে শুরু হবে বিএলওদের প্রশিক্ষণের কাজ। যা চলবে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত।
৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমেরেশন ফর্ম দেওয়া হবে। কেউ রাজ্যের বাইরে গেলে বা প্রবাসীরা অনলাইনেও ফর্ম ভরতে পারবেন। অন্য দিকে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৯ ডিসেম্বর। এই তালিকা নিয়ে অভিযোগ থাকলে ৯ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারির মধ্যে জানাতে হবে। পরবর্তী পর্যায়ে ৯ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে অভিযোগ শোনা এবং খতিয়ে দেখার কাজ। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।

কোন তিন ধাপে এসআইআর?
সিইসি জানিয়েছেন, তিন ধাপে দেশে এসআইআর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে— প্রাক এনুমারেশন, এনুমারেশন এবং এনুমারেশন-পরবর্তী পর্যায়।
প্রাক এনুমারেশন পর্বে রয়েছে, বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও), নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিক (ইআরও) এবং অন্যান্যদের প্রশিক্ষণ। আগের ভোটার তালিকার সঙ্গে তথ্য মিলিয়ে দেখা এবং রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে পুরো প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করা।
এনুমারেশন পর্বে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিতরণ, সংগ্রহ এবং মিলিয়ে দেখার কাজ হবে। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে প্রতিটি কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ১২০০ ভোটারের সংখ্যানির্ধারণের বিষয়টিও চূড়ান্ত হবে পর্বে। জ্ঞানেশের স্পষ্ট নির্দেশ— ‘‘সব বিএলও সব বাড়িতে তিন বার করে যাবেন।’’
এনুমারেশন-পরবর্তী পর্যায়ে রয়েছে, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ, যাঁদের নাম মেলেনি তাঁদের নোটিস পাঠানো, দাবি এবং আপত্তি সংক্রান্ত শুনানি (সব ঠিক থাকলে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি) এবং চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ।
কারা পাবেন এনুমারেশন ফর্ম? কারা হবেন ভোটার?
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আজ পর্যন্ত যাঁদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তাঁরা সকলে এনুমারেশন ফর্ম পাবেন। যাঁরা এনুমারেশন ফর্ম জমা দেবেন, তাঁদের সকলের নাম খসড়া তালিকায় উঠবে।

আর ভোটার তালিকায় নাম থাকবে কাদের? কমিশনের নির্দেশিকায় চারটি শর্তের কথা বলা হয়েছে— ১. ভারতীয় নাগরিক হতে হবে ২. ১৮ বছর বা তার বেশি বয়স হতে হবে ৩. সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় থাকতে হবে ৪. কোনও আইনে ভোট দেওয়ার অধিকার বাতিল হলে চলবে না।
তবে জীবিকা বা অন্য কারণে কেউ বাইরে থাকলে তাঁকে অনলাইনে ফর্ম পূরণ করতে হবে। ‘ইসিআই নেট অ্যাপ’ থেকে তথ্য আপলোড করা যাবে। দু’জায়গায় কারও নাম থাকলে দুটো ফর্মে আবেদন করা হলেও একটি নাম গ্রহণ করা হবে। সেন্ট্রাল ভাবে বিএলও পোর্টালে তথ্য উঠলে। একটি নাম স্বয়ংক্রিয় ভাবে বাদ যাবে।
তবে খসড়া ভোটার তালিকায় নাম উঠলেও যাঁদের নাম ‘ম্যাপিং’-এ নেই, তাঁরা সকলে চূড়ান্ত তালিকায় ঠাঁই না-ও পেতে পারেন। যাঁদের নাম ‘ম্যাপিং’-এ নেই কিন্তু ১২টি নথির (আধার-সহ) কোনও একটি বা একাধিক রয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকের ক্ষেত্রে শুনানি হবে। তার পর হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। প্রসঙ্গত, এসআইআর মামলায় সুপ্রিম কোর্ট আগেই জানিয়েছে, আধার নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। কিন্তু ভোটার তালিকার আবেদনে ‘নথি’ হিসাবে আধারকে গ্রাহ্য করার কথা বলেছে শীর্ষ আদালত।
ভোটার তালিকায় ‘ম্যাপিং’-এর অর্থ— এ বছর প্রকাশিত সর্বশেষ ভোটার তালিকার সঙ্গে ২০০২ সালে শেষ এসআইআর-তালিকা মিলিয়ে দেখা। দুই তালিকায় কত জনের নাম অভিন্ন, দেখা হয় তা। সঙ্গে দেখা হয়, এখনকার ভোটার তালিকায় থাকা কোনও ভোটারের মা-বাবার নাম গত এসআইআরের তালিকায় রয়েছে কি না। এই মিল পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টেরা চিহ্নিত হয়ে যান এমনিতেই। নির্বাচন কমিশনের সূত্রে বলা হচ্ছে, তাঁদের আলাদা করে কোনও নথিপত্র বা প্রমাণ দাখিল করতে হবে না আসন্ন এসআইআরের সময়ে। শুধুমাত্র কমিশনের দেওয়া আবেদনপত্র (এনুমারেশন ফর্ম) ভর্তি করলেই চলবে। যাঁদের নামের মিল বা সূত্র পাওয়া যাবে না, তাঁদের ক্ষেত্রে নথিপত্র-যাচাইয়ের প্রয়োজন হবে।
এসআইআর প্রক্রিয়ায় কার কী দায়িত্ব?
এই কাজে বিভিন্ন আধিকারিক যুক্ত থাকবেন। এঁদের দায়িত্ব কী কী, তা-ও জানিয়েছে কমিশন।
১. বিএলও— বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম দেবেন ও সংগ্রহ করবেন।
২. ইআরও— ভোটার তালিকা তৈরি, দাবি-আপত্তি শুনানি এবং চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবেন।
৩. এইআরও — ইআরও-কে সহায়তা করবেন।
৪. জেলাশাসক (জেলা নির্বাচনী আধিকারিক)— ইআরও-র সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রথম আপিল (আবেদন) শুনবেন।
৫. মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইসি)— জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় আপিল শুনবেন।

পুরো প্রক্রিয়ায় বিএলও-দের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা প্রত্যেক ভোটারের হাতে এনুমারেশন ফর্ম তুলে দেবেন। ভোটারকে ফর্ম পূরণে সাহায্য করবেন। ফর্ম সংগ্রহ করে ইআরও বা এইআরও-র কাছে জমা দেবেন। কমপক্ষে ৩ বার প্রতিটি ভোটারের বাড়িতে যাবেন। নতুন ভোটারের ক্ষেত্রে ‘৬ নম্বর ফর্ম’ সংগ্রহ করবেন, মৃত ও স্থানান্তরিত ভোটার এবং ডুপ্লিকেট নাম শনাক্ত করবেন, শহুরে বা অস্থায়ী ভোটারদের অনলাইন ফর্ম পূরণে সহায়তা করবেন।
২০০৬ সালের আগে বুথস্তরে ভোটার তালিকা সংশোধন বা পরিমার্জনের জন্য নির্দিষ্ট কোনও অফিসার ছিলেন না। নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিক (ইআরও) সাময়িক ভাবে এক জনকে নিয়োগ করতেন। যিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্দিষ্ট ভোটারদের খোঁজ নিয়ে আসতেন। তালিকার বেশির ভাগ সংশোধনের কাজ নিজের মতো করে করতেন ইআরও এবং এইআরও-রা। কমিশন উপলব্ধি করে ওই পদ্ধতি মৃত বা স্থানান্তরিত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া কিংবা নতুন নাম যুক্ত করার ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্য নয়। স্থানীয় পর্যায়ে এমন কাউকে দায়িত্ব দিতে হবে, যিনি নিজের এলাকা হাতের তালুর মতো চিনবেন। যাঁর কাজ হবে ভোটার তালিকার সব তথ্য সঠিক ভাবে রাখা। এবং তার জন্য দায়বদ্ধও থাকবেন। সেই মতো কমিশন ওই কাজে বুথপ্রতি এক জন সরকারি কর্মচারী নিয়োগ করে। তাঁরাই বিএলও নামে পরিচিত। কোনও একটি বুথের তৃতীয় শ্রেণি বা গ্রুপ-সি পদমর্যাদার কর্মী থেকে শুরু করে যে কোনও ঊর্ধ্বতন সরকারি আধিকারিক বিএলও হতে পারেন।
কোন কোন নথির ভিত্তিতে এসআইআর?
১. কেন্দ্রীয় অথবা রাজ্য সরকারের কর্মী হিসাবে কাজ করেছেন অথবা পেনশন পান এমন পরিচয়পত্র। ২. ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, এলআইসি, স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া যে কোনও নথি। ৩. জন্ম শংসাপত্র। ৪. পাসপোর্ট। ৫. মাধ্যমিক বা তার অধিক কোনও শিক্ষাগত শংসাপত্র। ৬. রাজ্য সরকারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া বাসস্থানের শংসাপত্র। ৭. ফরেস্ট রাইট সার্টিফিকেট। ৮. জাতিগত শংসাপত্র। ৯. জাতীয় নাগরিক রেজিস্টার (যেখানে প্রযোজ্য)। ১০. স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া পারিবারিক রেজিস্টার। ১১. জমি অথবা বাড়ির দলিল।
এ ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ১২ নম্বর নথি হিসাবে আধার কার্ড দেখানো যাবে। তবে তা দেখিয়ে নাগরিকত্বের দাবি করা যাবে না। কারণ, শীর্ষ আদালতে আগেই জানিয়েছে, আধার নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আধার কার্ডের সঙ্গে এই ১১টি নথির যে কোনও একটি দিতে হবে। তবে এই ১১টি নথির বাইরে কোনও নথি যদি নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারে, তবে তা-ও গ্রহণ করা হবে।
কেন বাদ অসম? জানাল কমিশন
পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গেই আগামী বছর অসমেও বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু সেই রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) ঘোষণা করল না নির্বাচন কমিশন। তারা আগেই জানিয়েছিল, বিশেষ করে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে এমন রাজ্যগুলিতে ওই সংশোধনের কাজ প্রথমে শুরু হবে। তার পরেও কেন অসমের জন্য এসআইআর করার কথা ঘোষণা করল না কমিশন?
এ বিষয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের ব্যাখ্যা, তিনি জানান, ভারতীয় নাগরিকত্ব আইনে অসম রাজ্যের জন্য জাতীয় নাগরিকত্ব আইনের একটি আলাদা ধারা (৬-এ) রয়েছে। এ ছাড়াও আরও একটি কারণের কথা জানান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে অসমে নাগরিকত্বের যাচাইকরণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আর গোটা দেশের জন্য এসআইআর সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি যেহেতু ২৪ জুন প্রকাশ করা হয়েছে, সেই কারণে অসমে তা প্রযোজ্য নয়।’’ জ্ঞানেশ জানান, অসমের জন্য আলাদা বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। তবে কবে সেই বিজ্ঞপ্তি জারি, কবে অসমে এসআইআর হবে— তা স্পষ্ট করেনি কমিশন।
প্রসঙ্গত, কেবল মাত্র অসম রাজ্যের জন্যই নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারাটি তৈরি করা হয়েছিল। অসমে অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের পরে ১৯৮৫-তে ভারত সরকার এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে হওয়া ‘অসম চুক্তি’-র অঙ্গ হিসাবে নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারা তৈরি করা হয়েছিল। ওই ধারা অনুযায়ী ১৯৬৬-র ১ জানুয়ারি থেকে ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ পর্যন্ত অসমে অনুপ্রবেশ করা বাংলাদেশিদের নাগরিকত্বের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার পরে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে আসা ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। গত অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্ট একটি মামলায় ৬-এ ধারার বৈধতা স্বীকার করে নিয়েছে। তা ছাড়া, সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানেই হচ্ছে অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)-র কাজ।
কমিশনের ঘোষণার পরেই সক্রিয়তা বঙ্গে
সিইসি জ্ঞানেশের এসআইআর-নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরেই সোমবার বিকেল থেকে তৎপরতা শুরু হল পশ্চিমঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইসি) মনোজকুমার আগরওয়ালের দফতরে। মঙ্গলবার থেকেই শুরু হচ্ছে এসআইআর-এর কাজ। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। তার আগে বিকেল ৪টেয় সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন তিনি।
সোমবার আজ রাত ১২টা থেকে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত সব কাজ বন্ধ থাকবে। নতুন নাম তোলা, সংশোধন, পরিবর্তন করা যাবে না। পরের ধাপে স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলির কাছে পুরো বিষয়টি ব্যাখ্যা করবেন সিইসি। এ রাজ্যে রাজনৈতিক দলগুলির বুথ লেভেল এজেন্ট ( বিএলএ) ২০ হাজার রয়েছে। ৫ হাজারের বেশি রয়েছে তৃণমূলের। বিজেপির রয়েছে ৭ হাজারের বেশি। কমিশন সূত্রের খবর, এনুমারেশন ফর্ম বিলি ও যাচাই প্রক্রিয়ার সময় বিএলও-দের সঙ্গে যেতে পারবেন বিএলএ-রা। বিএলএ-র কাছেও ফর্ম জমা দেওয়া যাবে। এক জন ৫০টি ফর্ম জমা দিতে পারবেন।

