কোয়ার্টার ফাইনালের আগে পর্যন্ত প্রতিটি রাউন্ডে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে জিতছিলেন পিভি সিন্ধু। যে ভাবে তিনি খেলছিলেন তাতে আশা জেগেছিল ভারতীয় সমর্থকদের। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ হল সিন্ধুর। থামল তাঁর বিজয়রথ। ইন্দোনেশিয়ার পুত্রি কুসুমা ওয়ারদানির বিরুদ্ধে তিন গেমের লড়াইয়ে হারলেন সিন্ধু (১৪-২১, ২১-১৩, ১৬-২১)।
৬৪ মিনিটের লড়াইয়ের শুরুটা ভাল হয়নি সিন্ধুর। বিশ্বের নবম বাছাই ওয়ারদানির বিরুদ্ধে যে পঞ্চদশ বাছাই সিন্ধু দাপট দেখাতে পারবেন না তা বোঝা যাচ্ছিল। প্রথম গেমে শুরু থেকে পর পর পয়েন্ট তুলে এগিয়ে যান ওয়ারদানি। তিনি বার বার সিন্ধুকে নেটে টেনে আনছিলেন। তাতে সমস্যা হচ্ছিল ভারতীয় খেলোয়াড়ের। তবে লড়াই ছাড়েননি সিন্ধু। শেষ দিকে কয়েকটি পয়েন্টও তোলেন। তবে ব্যবধান এতটা বেশি ছিল যে সিন্ধু ফিরতে পারেননি। ১৪-২১ পয়েন্টে প্রথম গেম হারেন তিনি।
দ্বিতীয় গেমে ফেরেন সিন্ধু। শুরু থেকেই তিনি আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করেন। অনেক বেশি পাওয়ার ব্যাডমিন্টন শুরু করেন। তাতে চাপে পড়ে যান ওয়ারদানি। একটা সময় ১০-২ এগিয়ে যান সিন্ধু। ওয়ারদানি লড়াই করলেও ব্যবধান কমাতে পারছিলেন না। ১৬-৭ এগিয়ে যাওয়ার পর সিন্ধু যে সেই গেম জিতবেন তা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। শেষ দিকে পর পর চারটি পয়েন্ট পেয়ে ব্যবধান কিছুটা কমান ওয়ারদানি। কিন্তু তাতে সিন্ধুর সমস্যা হয়নি। ২১-১৩ জেতেন তিনি।
দেখে মনে হচ্ছিল, তৃতীয় গেমে সিন্ধুই দাপট দেখাবেন। কিন্তু হল উল্টো। শুরুতে পর পর তিন পয়েন্ট পেলেন ওয়ারদানি। ফিরলেন সিন্ধুও। টান টান লড়াই চলছিল। প্রথম দুই গেমে যা দেখা যায়নি, তা দেখা গেল তৃতীয় গেমে। লম্বা লম্বা র্যালি হল। কোনও প্রতিযোগীই এক ইঞ্চি জমি ছাড়ছিলেন না। একটা সময় দু’জনেই প্রায় সমান পয়েন্টে ছিলেন। তখনই কয়েকটি ভুল শট খেললেন সিন্ধু। তাঁর কিছু জাজমেন্টেও ভুল হল। তার ফয়দা তুললেন ওয়ারদানি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতে নিলেন তিনি।
২০১৯ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে মহিলাদের সিঙ্গলসে সোনা জিতেছিলেন সিন্ধু। ২০২১ সালে বাদ পড়েছিলেন কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। ২০২২ ও ২০২৩ সালে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছিলেন সিন্ধু। আরও এক বার কোয়ার্টার ফাইনালেই শেষ হল তাঁর দৌড়।