ইরাকের রাজধানী বাগদাদ থেকে চিনে যাচ্ছিল বিমান। বুধবার রাতে আচমকাই জরুরি অবতরণ করল কলকাতা বিমানবন্দরে। সওয়ার কিশোরী যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ায় বিমানটি রাত ১০টা ১৮ মিনিট নাগাদ অবতরণ করানো হয়। সঙ্গে সঙ্গে সেই যাত্রীকে কাছের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সূত্রের খবর, হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে কিশোরীর। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইরাকের প্রশাসনের সঙ্গে এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে।
ইরাকি এয়ারওজ়ের বিমানটিতে ১০০ জন যাত্রী এবং ১৫ জন কর্মী ছিলেন। চিনের গুয়াংঝৌ বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা ছিল। অবতরণের জন্য নির্ধারিত সময়ের আধ ঘণ্টা আগে সেটি কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সাত নম্বর বেতে রাখা হয় সেই বিমান। সওয়ার কিশোরীকে বিমানে উঠে পরীক্ষা করে দেখেন এয়ারপোর্ট পাবলিক হেল্থ অর্গানাইজ়েশন (এপিএইচও)-এর সদস্যেরা। তাঁরা জানান, সে সময় কিশোরীর নাড়ির স্পন্দন মেলেনি। কিশোরীর নাম ডেকান সমীর আহমেদ। তাঁকে কাছের হাসপাতালে স্থানান্তর করার কথা জানান এপিএইচও-র সদস্যেরা। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়ার পর রাতে ১টা ১৮ মিনিট নাগাদ বিমান থেকে নামানো হয় আহমেদ এবং তার সঙ্গে আসা দুই যাত্রীকে। আরও কিছু সরকারি প্রক্রিয়া শেষ করার পর বিমানবন্দরের পাঁচ নম্বর গেট দিয়ে বার করে তিন জনকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে কাছের হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সূত্রের খবর, হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে কিশোরীর। বুধবার রাত ১টা ৪৯ মিনিট নাগাদ কিশোরী এবং তাঁর দুই সহযাত্রীকে রেখে ৯৭ জন সওয়ারি এবং ১৫ জন বিমানকর্মীকে নিয়ে উড়ে যায় বিমান। কিশোরীর মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।