প্রায় ৭ ঘণ্টা পর ইডি দফতর থেকে বেরোলেন মডেল অভিনেত্রী শ্বেতা চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনি সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ঢুকেছিলেন। বিকেল সাড়ে ৫টার পর সেখান থেকে বেরোন। বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখোমুখি হন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত অয়ন শীলের ‘ঘনিষ্ঠ’ এই তরুণী।
ইডি দফতর থেকে বেরোনোর সময় অবশ্য সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন এড়িয়ে যাননি শ্বেতা। তিনি বলেন, ‘‘তদন্তের স্বার্থে আমাকে ইডি ডেকেছিল। আমি যথাসম্ভব সাহায্য করেছি। আশা করি, আমাকে আর আসতে হবে না।’’
শ্বেতার সঙ্গে অয়নের টাকার লেনদেন হয়েছে বলে দাবি ইডির। সেই সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হলে শ্বেতা সংবাদমাধ্যমের কাছে গুজব না ছড়ানোর আর্জি জানান। তিনি বলেন, ‘‘দয়া করে বিভ্রান্তিমূলক, কুরুচিকর, অপ্রমাণিত কথা প্রচার করে কাউকে সামাজিক ভাবে অপদস্থ করবেন না।’’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের আর কোনও জবাব দিতে শোনা যায়নি শ্বেতাকে। এর পর তিনি ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে চলে যান।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে নেমে অয়নের সূত্রেই শ্বেতার সন্ধান পান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কেউ কেউ বলেন, শ্বেতা আসলে অয়নের বান্ধবী। আবার কয়েকটি সূত্রের দাবি, ‘ভাগ্নি’ বলে পরিচয় দিয়ে অয়নের সঙ্গে শ্বেতা একটি ফ্ল্যাটে থেকেছেন। আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শ্বেতা অবশ্য বলেছিলেন, কর্মসূত্রেই অয়নের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। কাজের সূত্রেই অয়ন তাঁকে টাকা এবং দামি গাড়ি দিয়েছিলেন। ইডি সূত্রে খবর, অয়নের সঙ্গে শ্বেতার এই টাকার লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়েই জানতে চান গোয়েন্দারা। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে অয়নের বাড়ি থেকে শ্বেতার নামে লেনদেনের কাগজপত্র পেয়েছিল ইডি। মনে করা হচ্ছে, নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়ে শ্বেতা কিছু জানেন কি না, তিনি নিজেও এর সঙ্গে জড়িত কি না, অয়নের বিপুল সম্পত্তি এবং টাকার উৎস কী, সে সব নিয়েই মডেল-অভিনেত্রীর কাছে বৃহস্পতিবার জানতে চাইতে পারে ইডি।