রাস্তা খারাপ। গ্রামে ঢুকতেই পারল না অ্যাম্বুল্যান্স। অগত্যা খাটিয়াতে শুইয়েই, দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে অসুস্থ রোগীকে নিয়ে হাসপাতালের পথে পরিজনরা। মালদহের বামনগোলা থানা এলাকার গোবিন্দপুরের শিউরে ওঠা ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মাধ্যমে। মহেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মালডাঙা গ্রামের খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে গেছে প্রশাসনিক মহলে। খাটিয়াতে শুইয়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। বাঁচানো যায়নি মামনিকে। পরে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় বছর ১৯-এর মামনি রায়ের।
বাড়িতে বছর দুয়েকের এক সন্তানও রয়েছে তরুণীর। ঘটনায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে পদ্ম শিবির। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে এলাকার বিজেপি নেত্রী বিনা সরকার কীর্তনিয়া বলেন, এই বুথে রাস্তার জন্য আগেও আন্দোলন করেছেন এলাকার লোকজন। বিডিও কথা দিয়েছিলেন শীঘ্রই রাস্তা করে দেওয়া হবে। কিন্তু, হয়নি। রাজ্য সরকার পথশ্রী করছেন কিন্তু, যদি সত্যিকারের কাজ হত তাহলে তরুণীর অকালমৃত্যু হত না। অন্যদিকে এ বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি পুলিস প্রশাসনের।
অন্যদিকে, মালদহের ভাইরাল ফুটেজে শোরগোল। শহর থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরেই মধ্যযুগীয় পন্থা। কোথায় গেল পথশ্রী? প্রশ্ন তুলেই ভিডিয়ো পোস্ট বিজেপি নেত্রীর। বদনামের ছক। পাল্টা শাসকদলের। মেলেনি প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া।