খারাপ সময় কাটছে না মহম্মদ শামির। ব্যাট হাতে নয়, বল হাতে ‘সেঞ্চুরি’ করেছেন তিনি। বোলিংয়ের পর পূর্বাঞ্চলের ব্যাটারেরাও ব্যর্থ। ফলে উত্তরাঞ্চলের বিরুদ্ধে চাপে তারা। দলীপে ভাল খেলতে পারছেন না ভারতীয় দলে খেলা ক্রিকেটারেরা। তাঁদের বদলে অনামী ক্রিকেটারেরা বেশি নজর কাড়ছেন। সে বল হাতে হোক, বা ব্যাট হাতে।
উত্তরাঞ্চলের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ২৩ ওভার বল করেছেন শামি। প্রথম দিন এক উইকেট পেয়েছিলেন। দ্বিতীয় দিন কোনও উইকেট পাননি। ১০০ রান দিয়েছেন শামি। ওভার প্রতি ৪.৩০ রান দিয়েছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে অনামী ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে যদি কেউ এত রান দেন, তা হলে কী ভাবে জাতীয় দলে তিনি সুযোগ পাবেন? শামি যতই বলুন না কেন, এখনও জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখেন, ভারতীয় দলের দরজা তাঁর জন্য ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মুকেশ আবার প্রথম দিন চোট পেয়েছিলেন। দ্বিতীয় দিন বল করলেও উইকেট পাননি তিনি। ১৪.৫ ওভারে ৫০ রান দিয়েছেন বাংলার পেসার।
প্রথম ইনিংসে ৪০৫ রান করেছে উত্তরাঞ্চল। জবাবে ২৩০ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছে পূর্বাঞ্চল। বিরাট সিংহ (৬৯) ছাড়া কেউ বড় রান করতে পারেননি। অধিনায়ক রিয়ান পরাগ করেছেন ৩৯ রান। পূর্বাঞ্চলের শেষ ৫ উইকেট পড়েছে মাত্র ৮ রানে। প্রথম ইনিংসে ১৭৫ রানের লিড পেয়েছে উত্তরাঞ্চল।
বড় লিড পেলেও উত্তরাঞ্চলের অর্শদীপ সিংহ ও হর্ষিত রানা খুব একটা ভাল খেলতে পারেননি। অর্শদীপ ১৭ ওভারে ৫১ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন। হর্ষিত ১৪ ওভারে ৫৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন। ওভার প্রতি ৪ রান করে দিয়েছেন তিনি। অথচ তাঁরা দু’জনেই ভারতীয় দলে খেলা বোলার। সেই তুলনায় অনামী আকিব নবি দার ১০.১ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন। জম্মু ও কাশ্মীরের এই বোলারের সামনে ভেঙে পড়েছে পূর্বাঞ্চলের ব্যাটিং।
অপর কোয়ার্টার ফাইনালে ৪ উইকেটে ৫৩২ রান করে প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার দিয়েছে মধ্যাঞ্চল। দ্বিশতরান করেছেন বিদর্ভের দানিশ মালেওয়ার। আরও এক অনামী ক্রিকেটার নজর কেড়েছেন দলীপের মঞ্চে। ৮৭ রান করেছেন যশ রাঠৌর। জবাবে দ্বিতীয় দিনের শেষে ১৬৮ রানে ৭ উইকেট উত্তর-পূর্বাঞ্চলের।
প্রতিপক্ষ ৩৬৪ রানে পিছিয়ে থাকলেও হতাশ করেছেন মধ্যাঞ্চলের তিন বোলার। দীপক চহার, খলিল আহমেদ ও কুলদীপ যাদব একটাও উইকেট পাননি। দীপক ও খলিল অবশ্য বেশি ওভার বল করেননি। তাতেও হতাশ করেছেন তাঁরা। দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ওভার প্রতি ৪.৬০ রান করে দিয়েছেন দীপক। খলিল ওভার প্রতি ৩.৭০ রান দিয়েছেন। তাঁদের থেকেও বেশি হতাশ করেছেন কুলদীপ। দেশের একমাত্র চায়নাম্যান বোলার তিনি। তাঁর বল সহজে খেলেছেন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ব্যাটারেরা। ২০ ওভার বল করে ৫৫ রান দিয়েছেন কুলদীপ। উইকেট পাননি। সামনে দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে ভারতের টেস্ট সিরিজ়। জাতীয় দলে খেলা বোলারদের ফর্ম চিন্তায় রাখবে প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর ও প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরকে।