বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জিতে শুরু করেছে ভারত। দুবাইয়ে সেই ম্যাচে ৫ উইকেট নেন মহম্মদ শামি। পরের ম্যাচ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। কিন্তু সেই ম্যাচ নিয়ে বাড়তি কোনও চিন্তা নেই শামির। আর পাঁচটা সাধারণ ম্যাচের মতোই দেখছেন এই ম্যাচটিকে। জানালেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট নিয়ে কার উদ্দেশে উড়ন্ত চুম্বন ছুড়ে দিয়েছিলেন তিনি।
চোটের কারণে ২০২৩ সালের এক দিনের বিশ্বকাপের পর থেকে খেলতে পারছিলেন না শামি। এই বছর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তন হয় তাঁর। তার পরেই জায়গা করে নেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে। জসপ্রীত বুমরাহহীন ভারতীয় দলের বোলিং আক্রমণকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব এখন শামির কাঁধেই। তবে পাকিস্তান ম্যাচে বাড়তি কিছু করতে যাবেন না বলেই জানিয়েছেন। শামি বলেন, “একটা ম্যাচ জেতার পর আলাদা কিছু করার মানসিকতা থাকা উচিত নয়। যে ভাবে একটা ম্যাচ জিতেছি, সেটাকে ধরে রাখার চেষ্টা করা উচিত। আইসিসি প্রতিযোগিতা বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ ভেবে বাড়তি চাপ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। নিজের ক্ষমতার উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। আমি সব সময় নিজের উপর বিশ্বাস রাখি এবং নিজেকে উদ্বুদ্ধ করি। তাই কোনও ম্যাচের জন্য আলাদা মানসিকতার প্রয়োজন হয় না।”

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৫ উইকেট নিয়ে আকাশের দিকে চুম্বন ছুড়ে দেন শামি। ম্যাচের পর তিনি বলেন, “ওই চুমু আমার বাবার জন্য। বাবা আমার আদর্শ।” ২০১৭ সালে শামির বাবা তৌসিফ আলির মৃত্যু হয়। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি।
২০২৩ সালে এক দিনের বিশ্বকাপে ২৪টি উইকেট নিয়েছিলেন শামি। মাত্র সাতটি ম্যাচ খেললেও তিনিই ছিলেন প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। আরও এক বার আইসিসি প্রতিযোগিতায় খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচেই ৫ উইকেট নিয়েছেন শামি। তিনি বলেন, “আইসিসি প্রতিযোগিতায় আমি রান দিলেও পরোয়া করি না। শুধু উইকেট নেওয়াই আমার লক্ষ্য। সেই চেষ্টাই করি। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে প্রতি দিন আট ঘণ্টা কাটাতাম। আমার মধ্যে খিদেটা রয়েছে। খিদে না থাকলেও কখনও লক্ষ্যে পৌঁছোনো সম্ভব নয়।”
চোট সারিয়ে ফিরে বাংলার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছিলেন শামি। সেটাই তাঁকে তৈরি হতে সাহায্য করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে ২২৮ রান তোলে। ভারত ২১ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয়।