এই পারফরম্যান্সের পর কি আর ভারতের টেস্ট দলে জায়গা পাবেন মহম্মদ শামি? চোট সারিয়ে ফেরার পর এখনও ছন্দ ফিরে পাননি শামি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাঁকে সুযোগ দিলেও ইংল্যান্ড সফরের দলে রাখেননি অজিত আগরকর, গৌতম গম্ভীর। এই পরিস্থিতিতে শামির শেষ সুযোগ ছিল দলীপ ট্রফি। সেই সুযোগ হারালেন তিনি। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ শামি। পেলেন না এক উইকেটও।
দ্বিতীয় ইনিংসেও শামির হাতে নতুন বল তুলে দিয়েছিলেন পূর্বাঞ্চলের অধিনায়ক রিয়ান পরাগ। কিন্তু শামির বল দেখে মনে হয়নি, বিপক্ষ ব্যাটারদের সমস্যার সামনে ফেলতে পারেন তিনি। আরাম করে শামির বল খেললেন উত্তরাঞ্চলের ব্যাটারেরা। ১১ ওভারে ৩৬ রান দিলেন শামি। বাধ্য হয়ে তাঁকে দিয়ে ১১ ওভারের বেশি বল করাতে পারেননি পরাগ। বাংলার আর এক পেসার মুকেশ কুমার দ্বিতীয় ইনিংসে বলই করতে পারেননি। চোট পেয়েছেন তিনি। তাতে আরও সমস্যা হয়েছে পূর্বাঞ্চলের।
প্রথম ইনিংসে ২৩ ওভার বল করেছিলেন শামি। ১০০ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছিলেন। ওভার প্রতি ৪.৩০ রান করে দিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ওভার প্রতি রান কম দিলেও কাজের কাজটাই করতে পারেননি তিনি। শামির বল খেলতে যদি ঘরোয়া ব্যাটারদের সমস্যা না হয়, তা হলে কোন ভরসায় তাঁকে জাতীয় দলে নেওয়া হবে। ভারতের টেস্ট দলে জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজের পর আকাশ দীপ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, অর্শদীপ সিংহেরা রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে হয়তো দলে ঢোকার শেষ সুযোগটাও হারিয়ে ফেললেন শামি।
পূর্বাঞ্চলের বোলারদের ব্যর্থতা কাজে লাগায় উত্তরাঞ্চল। শতরান করেছেন দলের দুই ব্যাটার। অধিনায়ক অঙ্কিত কুমারের ১৬৮ ও যশ ঢুলের ১৩৩ রানের দাপটে তৃতীয় দিনের শেষে উত্তরাঞ্চলের রান ২ উইকেটে ৩৮৮। পূর্বাঞ্চলের থেকে ৫৬৩ রানে এগিয়ে তারা। এখন দেখার চতুর্থ দিন তারা পূর্বাঞ্চলের সামনে কত রানের লক্ষ্য দেয়।
অপর কোয়ার্টার ফাইনালে দ্বিতীয় ইনিংসেও ভাল ব্যাট করেছে মধ্যাঞ্চল। শুভম শর্মার শতরান, রজত পাটীদারের ৬৬ ও যশ রাঠৌরের ব্যাটে ৭ উইকেটে ৩৩১ রান করে ডিক্লেয়ার করেছে তারা। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের থেকে ৬৭৮ রান এগিয়ে তারা। চতুর্থ তথা শেষ দিন ম্যাচ জেতার লক্ষ্যেই ডিক্লেয়ার দিয়েছে তারা।