অবৈধবাসী ভারতীয়দের নিয়ে শনিবার রাতে পঞ্জাবের অমৃতসরে নামবে দ্বিতীয় মার্কিন বিমান। এই বিমানে ১১৯ জন অবৈধ অভিবাসীকে ফেরত পাঠাচ্ছে আমেরিকা। প্রথম ধাপে তারা পাঠিয়েছিল ১০৪ জনকে। কিন্তু অবৈধবাসীদের বিমান কেন পঞ্জাবেই নামানো হচ্ছে, কেন দেশের রাজধানী দিল্লিতে ওই বিমান নামছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। তাঁর অভিযোগ, পঞ্জাবকে গোটা দেশের সামনে ছোট করার উদ্দেশ্যেই মার্কিন বিমানগুলি অমৃতসরে নামানো হচ্ছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে এক হাত নিয়েছেন তিনি। তবে একই সঙ্গে জানিয়েছেন, আমেরিকাফেরত অবৈধবাসীদের যথাসম্ভব সাহায্য করবে তাঁর প্রশাসন।
শনিবার রাত ১০টা নাগাদ অমৃতসরের বিমানবন্দরে নামার কথা আমেরিকার বিমানের। ওই ১১৯ অবৈধবাসীর মধ্যে ৬৭ জনই পঞ্জাবের বাসিন্দা। হরিয়ানা থেকে রয়েছেন ৩৩ জন। এ ছাড়া, গুজরাতের আট জন, উত্তরপ্রদেশের তিন জন, গোয়ার দু’জন, মহারাষ্ট্রের দু’জন, রাজস্থানের দু’জন, হিমাচল প্রদেশের এক জন এবং জম্মু ও কাশ্মীরের এক জনকে দ্বিতীয় দফায় ফেরত পাঠাচ্ছে আমেরিকা। চলতি সপ্তাহেই তৃতীয় দফার অবৈধবাসীদের নিয়ে তাদের আরও একটি বিমানের ভারতে আসার কথা। তবে তৃতীয় দফার বিমানটির অবতরণের দিনক্ষণ কিংবা বিমানে কোন রাজ্যের কত জন আছেন, এখনও জানায়নি আমেরিকা।
পঞ্জাবের আপ মুখ্যমন্ত্রী মান বলেছেন, ‘‘কেন অবৈধবাসীদের নিয়ে আমেরিকা থেকে আসা বিমান শুধু পঞ্জাবেই নামছে? কেন দেশের রাজধানী দিল্লিতে যাচ্ছে না মার্কিন বিমান। আসলে এটা একটা চক্রান্ত। সারা দেশের সামনে পঞ্জাব এবং পঞ্জাবিদের ছোট করার চক্রান্ত। যেন শুধু পঞ্জাবিরাই অবৈধ ভাবে আমেরিকায় যান, এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’’ মান জানিয়েছেন, অবৈধবাসীদের পাঠানো উচিত দিল্লি কিংবা অহমদাবাদে। সেখান থেকে পঞ্জাবিদের সসম্মানে রাজ্যে নিয়ে আসবে পঞ্জাব সরকার। তাঁর কথায়, ‘‘অবৈধ অভিবাসন শুধু পঞ্জাবের সমস্যা নয়। এটা গোটা দেশের সমস্যা।’’
অবৈধবাসীদের নিয়ে আমেরিকা থেকে অমৃতসরে প্রথম বিমানটি নেমেছিল ৫ ফেব্রুয়ারি। অভিযোগ, বিমানের মধ্যে হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়েছিল ওই ১০৪ জনকে। তাঁদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয় বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন আমেরিকাফেরত অনেকে। সম্প্রতি আমেরিকা সফর সেরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর অবৈধবাসী সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ভারত জানিয়েছে, আমেরিকাফেরত এই অভিবাসীদের গ্রহণ করতে তারা প্রস্তুত।