রবীন্দ্রোত্তর যুগের প্রবাদপ্রতিম সঙ্গীতকার সলিল চৌধুরীর জন্ম শতবর্ষ যথাযোগ্য মর্যাদা ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে উদযাপন করার লক্ষ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শিল্পী, সাংস্কৃতিক সংস্থা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের ও প্রয়োগশিল্প শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সমন্বয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা “সলিল চৌধুরী জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটি,” গঠিত হয়েছে কিছুদিন আগে। এই কমিটির উদ্যোগে কর্মচারী ভবন প্রাঙ্গণে “সলিল সমারোহ” শিরোনামের অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে সলিল চৌধুরীর জন্মশতবর্ষ উদযাপনের সূচনা হলো।
এদিন সন্ধ্যায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মেদিনীপুর শহরের স্বনামধন্য শিল্পী সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষণ সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে সূচনা পর্বের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হলো। জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটির উদ্যোগে এই উপলক্ষ্যে বর্ষব্যাপী নানাবিধ কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উদযাপন কমিটির সভাপতি ড: সুশান্ত চক্রবর্তী এই জন্ম শতবর্ষ উদযাপন উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে শহরের বিশিষ্ট শিল্পীবৃন্দ ও সাংস্কৃতিক সংস্থা সমূহ সলিল চৌধুরীর সৃষ্টিনির্ভর সঙ্গীত, আবৃত্তি ও নৃত্যানুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
এদিনের অনুষ্ঠানে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড: সুশান্ত চক্রবর্তী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, আয়োজক সংগঠনের কার্য্যকরী সভাপতি বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী জয়ন্ত সাহা, সম্পাদক নাট্য ব্যক্তিত্ব পিনাকী মজুমদার, সংস্কৃতি প্রেমী সুশান্ত ঘোষ, চিকিৎসক ডাঃ বি.বি. মন্ডল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অমিয় পাল, বিজয় পাল, তাপস সিনহা, সুজয়া সরকার, স্নেহময় দত্ত, শ্যামলী সাহা রামকৃষ্ণ সরকার, জয়ন্ত চক্রবর্তী, রবিশংকর বসু, ডাঃ বিমল গুড়িয়া, প্রণব চক্রবর্তী, দুলাল আঢ্য, জয়ন্ত চক্রবর্তী, প্রদীপ দাস, বিপ্লব ভট্টাচার্য, গঙ্গাধর বর্মন, অশোক ঘোষ, তারাশঙ্কর বিশ্বাস, স্বপ্না বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রদীপ বসু, পাপিয়া চৌধুরী, সৃজিতা দে বক্সী, ভারতী বন্দ্যোপাধ্যায়, সিদ্ধার্থ সাঁতরা, গৌতম দেব, অজন্তা রায়, অনিন্দিতা শাসমল, কেয়া সেন মনিকাঞ্চন রায়, নরসিংহ দাস, কুমারেশ ঘোষ প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুচারুভাবে সঞ্চালনা করেন অর্ণব বেরা, দীপান্বিতা ব্যানার্জি, ও মোম চক্রবর্তী।