বার্বাডোজে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) একটি ম্যাচ খেলতে গিয়ে ডাকাতদের কবলে পড়লেন দুই ক্রিকেটার। ডাকাতদের হাত থেকে রেহাই পাননি সিপিএলের এক কর্তাও। কারও অবশ্য আঘাত লাগেনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের এই ঘটনায় তৈরি হয়েছে আতঙ্ক।
একটি অনুষ্ঠান সেরে সোমবার রাত ৩টে নাগাদ হোটেলে ফিরছিলেন সেন্ট কিটস্ অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের দুই ক্রিকেটার। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সিপিএলের এক কর্তাও। হোটেলে যাওয়ার পথে খাবার কেনার জন্য রাস্তায় গাড়ি থামান তাঁরা। সে সময় তাঁদের ঘিরে ধরে কয়েক জন স্থানীয় যুবক। কিছু বোঝার আগেই তিন জনের মাথায় বন্দুক ধরে তারা। তাঁদের কাছে থাকা টাকা, গয়না এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিস কেড়ে নেয় ওই দুষ্কৃতীরা।
দুই ক্রিকেটার এবং ওই কর্তা দুষ্কৃতীদের সঙ্গে কোনও বিবাদে জড়াননি। বাধা দেওয়ারও চেষ্টা করেননি। দুষ্কৃতীরা চলে গেলে তাঁরাও হোটেলে ফিরে যান। বিষয়টি জানান দল কর্তৃপক্ষকে। অভিযোগ দায়ের করা হয় পুলিশের কাছে। সিপিএল দলটির অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্ত শুরু করে বার্বাডোজ পুলিশ। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ধরা পড়ে অস্ত্র-সহ দুষ্কৃতীরা। দুই ক্রিকেটার এবং ওই কর্তার খোয়া যাওয়া সব কিছু উদ্ধার হয়েছে। ডাকাতদের কবলে পড়া কারও নামই প্রকাশ করেননি সিপিএল কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে সিপিএল খেলতে যাওয়া বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে। ভিন দেশের আম্পায়ার, সম্প্রচারকারী সংস্থার কর্মীরাও আতঙ্কিত। বার্বাডোজ পুলিশ অবশ্য নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছে। সিপিএলের এক কর্তা বলেছেন, ‘‘প্রতিযোগিতার সঙ্গে যুক্ত সকলের নিরাপত্তাই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশ তদন্ত করছে। পুরো বিষয়টি এখন তদন্তকারীদের হাতে। আমরা সব রকম ভাবে তদন্তে সাহায্য করব।’’ ক্রিকেটার-সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে সিপিএল কর্তৃপক্ষের তরফে।
ডাকাতির ঘটনার পর সেন্ট কিটস্ অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের হোটেলের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর তাদের ম্যাচ রয়েছে বার্বাডোজ রয়্যালসের সঙ্গে।