এশিয়া কাপের দলে তাঁর নাম ঘোষণা করে নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, অতিরিক্ত ব্যাটার হিসাবে নেওয়া হয়েছে রিঙ্কু সিংহকে। প্রথম একাদশে তাঁর খেলার সম্ভাবনা প্রায় নেই। কিন্তু পরের কিছু দিনে সেই ছবি বদলে গিয়েছে। এশিয়া কাপের আগে ফর্মে রয়েছেন রিঙ্কু। উত্তরপ্রদেশ টি-টোয়েন্টি লিগে একের পর এক ম্যাচে দলকে জেতাচ্ছেন তিনি। শনিবার ছয় ছক্কায় ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছেন রিঙ্কু।
কাশী রুদ্রের বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল রিঙ্কুর নেতৃত্বাধীন মেরঠ ম্যাভেরিকসের। ১৩৬ রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লে-র মধ্যে তিন উইকেট পড়ে যায় মেরঠের। রিঙ্কু শুরুটা ধীরে করেন। মাধব কৌশিকের সঙ্গে ইনিংস গড়ার কাজ করেন তিনি। প্রথম ২০ বলে ৭ রান করেন রিঙ্কু। ২১তম বলে নিজের প্রথম চার মারেন। প্রথম ছক্কা মারেন ৩০তম বলে।
ধীরে ধীরে হাত খোলেন রিঙ্কু। ১৪তম ওভারে আশিস যাদবের বলে তিনটি চার মারেন তিনি। পরের ওভারে শিবা সিংহের বলে পর পর দু’টি ছক্কা ও একটি চার মারেন। ৪৩ বলে অর্ধশতরান করেন রিঙ্কু। জিততে যখন ১৯ রান বাকি তখন রিঙ্কু ঠিক করেন, আর বেশি সময় নেবেন না। অটল বিহারির বলে তিনটি ছক্কা ও একটি চার মেরে খেলা শেষ করে দেন রিঙ্কু। ১৫.৪ ওভারে ম্যাচ জিতে যায় মেরঠ। ৪৮ বলে অপরাজিত ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন রিঙ্কু। ছ’টি চার ও ছ’টি ছক্কা মারেন তিনি।
উত্তরপ্রদেশ টি-টোয়েন্টি লিগে সাত ইনিংসে ২৯৫ রান করেছেন রিঙ্কু। ৫৯ গড় ও ১৭০.৫২ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন তিনি। মিডল অর্ডারে নেমে এই গড় ও স্ট্রাইক রেটে খেলা সহজ নয়। একটি শতরান ও দু’টি অর্ধশতরান করেছেন কেকেআরের ব্যাটার। সাত ম্যাচে ১৯টি ছক্কা মেরেছেন তিনি।
ভারতীয় দলে রিঙ্কু যে কয়েকটি ম্যাচ খেলেছেন সেখানে ফিনিশারের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। ছোট কেরিয়ারে কঠিন পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ বার করেছেন তিনি। কিন্তু আইপিএলে কেকেআরের হয়ে দুই মরসুমে তেমন রান না থাকায় গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা হয়নি রিঙ্কুর। এ বার এশিয়া কাপেও তিনি খেলতে পারবেন কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে নিজের কাজ করছেন রিঙ্কু। যে ফর্মে তিনি রয়েছেন তাতে তাঁকে প্রথম একাদশের বাইরে রাখা কঠিন। ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের পছন্দের খেলোয়াড় তিনি। এখন দেখার, ঘরোয়া লিগের এই ফর্ম তাঁকে জাতীয় দলের প্রথম একাদশে জায়গা করে দিতে পারে কি না।