নতুন চিনা ভাইরাসে ভয় আছে ভারতের? প্রশ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যকর্তাকে, জবাবে কী কী জানালেন

চিনে নতুন ভাইরাস হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) হানা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। আশ্বাস দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সঙ্গে যুক্ত এক সংস্থার শীর্ষ আধিকারিক। তবে শ্বাসযন্ত্রের যে কোনও ধরনের সংক্রমণ নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন হেলথ সার্ভিসেসের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজিএইচএস) অতুল গোয়েল।

চিনে সম্প্রতি শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতালে ভিড়ের একাধিক ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে । এর পরেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে ভারতে। ফিরে এসেছে কোভিডের স্মৃতি। এই আবহেই সাংবাদিকদের প্রশ্নে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সঙ্গে যুক্ত সংস্থার শীর্ষ আধিকারিক অতুল। এই হেলথ সার্ভিস মন্ত্রককে জনস্বাস্থ্য নিয়ে প্রযুক্তিগত পরামর্শ দেয়। সেই সংস্থারই প্রধান অতুল জানান, শ্বাসযন্ত্রকে সংক্রামিত করে এমন যে কোনও ভাইরাসের মতোই হল এইচএমপিভি। ছোট থেকে বড়, যে কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। সর্দি-জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। অতুলের কথায়, ‘‘চিনে মেটানিউমোভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে খবর ঘুরছে। একটা কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই। সর্দি-জ্বর ঘটায় এমন যে কোনও শ্বাসযন্ত্র আক্রমণকারী ভাইরাসের মতোই কাজ করে এইচএমপিভি। ছোট থেকে বয়স্ক, যে কেউ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে জ্বরে ভুগতে পারেন।’’ তবে অতুল শ্বাসনালীর সব ধরনের সংক্রমণের নিয়েই সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘এমনিতে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।’’

অতুল এ-ও জানিয়েছেন, গত ডিসেম্বর মাসে এ দেশের মানুষ জনের মধ্যে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা বৃদ্ধি পায়নি। অন্তত পরিসংখ্যানে তেমনটা ধরা পড়েনি। দেশের কোনও হাসপাতালেই শ্বাসকষ্টের রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে বলে কোনও খবর মেলেনি। যদিও শীতকালে এই সমস্যা এমনিতেই বৃদ্ধি পায়। হাসপাতালগুলিও সেই মতো প্রস্তুত থাকে। তার পরেও বার বার মানুষজনকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অতুল। তিনি বলেন, ‘‘একটাই কথা সকলকে বলতে চাই যে, শ্বাসযন্ত্রের যে কোনও সংক্রমণ নিয়ে যে ভাবে সতর্ক হই, এ ক্ষেত্রেও তা-ই হতে হবে। তার অর্থ, কারও সর্দি বা কাশি হলে বহু মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করা উচিত নয়। এতে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।’’ হাঁচি, কাশির সময় রুমাল ব্যবহার করারও পরামর্শ দিয়েছেন অতুল।

প্রসঙ্গত, কোভিডের মতো এইচএমপিভিও হাঁচি-কাশির মাধ্যমে সংক্রমিত ব্যক্তির থেকে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। রোগীর ব্যবহৃত জিনিসের সংস্পর্শে এলেও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সর্দি, জ্বর, নাকবন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.