আরজি কর দুর্নীতি মামলা: সন্দীপদের বিরুদ্ধে চার্জশিট নিয়ে রাজ্যকে পদক্ষেপের নির্দেশ

আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে কি না, শুনানিতে তা জানতে চেয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না। সেই সূত্রেই রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলে সিবিআই। আরজি কর মামলায় সিবিআইয়ের হয়ে সওয়াল করছিলেন কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি আদালতে অভিযোগ করেন যে, আর্থিক দুর্নীতির মামলায় দুই অভিযুক্ত সরকারি পদে কাজ করেছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে রাজ্যের অনুমতি প্রয়োজন। কিন্তু রাজ্যের তরফে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। তুষার আদালতকে জানান, ২৭ নভেম্বর রাজ্যের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। ২৯ নভেম্বর চার্জশিট দেওয়া হয়।

সিবিআইয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, “আমাদের কাছে এমন কোনও তথ্য নেই।” তার পরেই প্রধান বিচারপতি রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, “প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুন।” বিষয়টিতে নজর দেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।

প্রসঙ্গত, আরজি কর আর্থিক দুর্নীতি মামলায় এক অভিযুক্ত হলেন আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তিনি সরকারি কর্মচারী। এ ক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ কিংবা বিচারপ্রক্রিয়া (ট্রায়াল) শুরু করতে হলে রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দফতরের অনুমতি প্রয়োজন। কিন্তু সিবিআইয়ের অভিযোগ, রাজ্যের কাছে প্রয়োজনীয় অনুমতি চাওয়া হলেও তা এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তাই মূল চার্জশিটে রাখা যায়নি দুই অভিযুক্তের নাম। তবে এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিয়ে ওই দু’জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।

প্রসঙ্গত নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তিন অভিযুক্ত সুবীরেশ ভট্টাচার্য, অশোককুমার সাহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়রাও সরকারি কর্মচারী হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ কিংবা বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর জন্য মুখ্যসচিবের অনুমতির প্রয়োজন ছিল। কিন্তু মুখ্যসচিব সেই অনুমতি দেননি বলে দাবি করে তদন্তকারী সংস্থা। এ ক্ষেত্রেও সন্দীপদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশের জন্য রাজ্যের কাছে আবেদন জানানো হলেও সাড়া মেলেনি বলে দাবি সিবিআইয়ের। সিবিআইয়ের অভিযোগ শুনেই রাজ্যকে ‘প্রয়োজনীয় পদেক্ষেপের’ নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.