ভোট আসে, ভোট যায় কথা রাখেনা কেউই। ভোটের আগে সব দলেই প্রার্থীরা এসে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেয় ঠিকই কিন্তু ভোটের পরে আর তাদের দেখা মেলে না। যেই লঙ্কায় যায় সেই হয়ে যায় রাবণ। সেই কারণে এবার রাস্তার দাবিতে ভোট বয়কটে সামিল হলেন রায়গঞ্জ শহর সংলগ্ন একটি গ্রামীন এলাকার মানুষজন। ঘটনায় শোরগোল পরে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ ব্লকের মারাইকুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের সুভাষগঞ্জের কোতগ্রামের দাসপাড়া এলাকায়।
এই এলাকার একটি রাস্তা দীর্ঘদিন থেকেই বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। গ্রামবাসীরা জানান, বেহাল ঐ রাস্তা চলাচলের অযোগ্য। এমনি সময় যেমন তেমন হলেও বর্ষাকালে পরিস্থিতি আরও শোচনীয় হয়ে পড়ে। অসুস্থ মানুষদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে বেগ পেতে হয়। স্কুল পড়ুয়ারা ঠিকমত যাতায়াত করতে পারে না। ঘটে যায় দুর্ঘটনা। ভোটের সময় সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারা এসে ঝুরি ভরে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান বটে। কিন্তু ভোট পার হলে তাদের টিকি মেলা ভার। এই এলাকায় প্রায় দেড়শো পরিবারের বাস। তাই রাস্তার দাবিতে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট বয়কটের ডাক দিলেন তারা। এই ইস্যুতে সাঁটানো হয়েছে পোষ্টারও। গ্রামবাসীদের দাবি, প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে স্ট্যাম্প পেপারে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে রাস্তা নির্মাণের।
এদিকে গ্রামবাসীদের এই আন্দোলন নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি এনিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন। বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, মারাইকুরা গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলাপরিষদ তৃণমূলের দখলে। বিধায়কও তৃণমূলের। তারপরেও রাস্তা না হওয়া অনভিপ্রেত। এনিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা দেওয়ার পাশাপাশি বিজেপি মারাইকুরা গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় এলে ঐ রাস্তাটি নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন বিজেপির জেলা সভাপতি।
অপরদিকে পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূলও। তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি অরিন্দম সরকার বলেন, যে বুথের সমস্যা সেই বুথের নির্বাচিত সদস্য বিজেপি দলের। তিনি সেই বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ আনেন। আসন্ন নির্বাচনে ঐ বুথে তৃণমূল জয়ী হলে সমস্যা মিটে যাবে বলে আশ্বাস দেন অরিন্দমবাবু। এখন কোন পথে বরফ গলে সেটাই দেখার।