আয়াতোল্লা আলি খামেনেই ইরানের মসনদে থাকতে পারেন না! দাবি করেছিলেন ইজ়রায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইজ়রায়েল কাৎজ়। এ বার ইজ়রায়েলের বিদেশ মন্ত্রী জিডিয়ন সারের গলায় শোনা গেল ভিন্ন সুর। তিনি জানালেন, ইরানে শাসক-বদল তাদের উদ্দেশ্য নয়, অন্তত এখনও পর্যন্ত। জার্মানির একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি জানালেন, ইজ়রায়েলের মূল্য উদ্দেশ্য হল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করা। আর সেজন্যই পদক্ষেপ করছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার।
জার্মানির ‘বিল্ড’ সংবাদপত্রকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ইজ়রায়েলের বিদেশমন্ত্রী সার বলেন, ‘‘এই যুদ্ধের লক্ষ্য ইরানে শাসক-বদল নয়, ইজ়রায়েলের নিরাপত্তা ক্যাবিনেট তা নির্ধারণ করেনি। অন্তত এখনও পর্যন্ত নয়।’’ সারের এই বক্তব্য নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এখন না হলেও ভবিষ্যতে ইরানে খামেনেইকে সরাতে উদ্যত হতে পারে নেতানিয়াহুর সরকার। সেই ইঙ্গিতই দিয়ে রাখলেন মন্ত্রী। যদিও তিনি সেই জল্পনা উড়িয়ে বলেন, ‘‘পরমাণু এবং ক্ষেপণাস্ত্র— এই দুই হুঁশিয়ারি অপসারণের জন্য যা প্রয়োজন, তা করবে ইজ়রায়েল। এই কাজ, এই অভিযান শেষ করব, যেমনটা বলেছিলাম।’’
মঙ্গলবার হুঁশিয়ারি দিয়ে ইজ়রায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাৎজ় জানিয়েছিলেন, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনেইয়ের ‘পরিণতি’ হবে পড়শি দেশ ইরাকের ক্ষমতাচ্যুত একনায়ক সাদ্দাম হুসেনের মতো। রয়টার্সে প্রকাশিত একটি খবরে দাবি করা হয়েছিল, খামেনেইকে খুন করতে উদ্যত হয়েছিল নেতানিয়াহু সরকার। ওই প্রতিবেদন দাবি করা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেল আভিভের ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিলেন। অন্য দিকে, নেতানিয়াহু রবিবার প্রকাশ্যে তেহরানে ক্ষমতার পালাবদলে সক্রিয় হওয়ার জন্য ইরানের আমজনতার কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। ঠিক যেমন ভাবে দু’দশক আগে সাদ্দামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সময় ইরাকের জনতার কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ।
কিন্তু এ বার ইজ়রায়েলের মন্ত্রী সারের গলায় শোনা গেল ভিন্ন সুর। তিনি দাবি করলেন, ইরানে শাসক-বদল তাদের উদ্দেশ্য নয়। অন্তত এখন পর্যন্ত নয়। তবে ইজ়রায়েলের বিদেশমন্ত্রীর আগে গত বুধবার সে দেশের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ সিএনবিসিকে সাক্ষাৎকার দিয়ে জানান, ইরানে শাসক-বদল তাঁদের ‘সরকারি উদ্দেশ্য’ নয়। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করাই তাদের উদ্দেশ্য।