চাপ বাড়ছে যশ দয়ালের উপর। এক তরুণীকে শারীরিক ভাবে যৌন নিগ্রহ ও মানসিক ভাবে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করেছে প্রয়াগরাজ পুলিশ। তার পরেই ইলাহাবাদ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ক্রিকেটার। গ্রেফতারির বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দেওয়ার আবেদন করেছেন তিনি।
গত ২৮ জুন তরুণীর অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। অনলাইনে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে অভিযোগ করেন তিনি। এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে গাজিয়াবাদের সার্কেল অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। ২১ জুলাইয়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এফআইআরে ওই তরুণী জানান, দয়ালের সঙ্গে পাঁচ বছর সম্পর্কে ছিলেন তিনি। সেই সময়ে তাঁর উপরে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। তাঁর থেকে টাকাও নিয়েছেন দয়াল। অতীতে আরও অনেক মহিলার সঙ্গে একই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ তোলেন। সমস্ত চ্যাট, তার স্ক্রিনশট, ভিডিয়ো কল এবং ছবি পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন ওই তরুণী।
নির্যাতিতার অভিযোগ ছিল, দয়াল তাঁর পরিবারের সঙ্গে ওই তরুণীর পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। স্বামীর মতোই ব্যবহার করতেন। এতে দয়ালকে পুরোপুরি বিশ্বাস করে ফেলেন ওই তরুণী। ভুল বুঝতে পেরে প্রতিবাদ করায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। আর্থিক ভাবেও তাঁকে কোণঠাসা করে দেওয়া হয়। গত ১৪ জুন মহিলাদের হেল্পলাইনে ফোন করে সাহায্য চান তরুণী। তাতে লাভ না হওয়ায় অনলাইনে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ তোলেন। দয়ালের বিরুদ্ধে সঠিক ভাবে তদন্ত করে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণের নির্দেশ দেয় যোগী সরকার। তার পরেই ইন্দিরাপুরম থানায় দয়ালের বিরুদ্ধে বিএনএস ধারা ৬৯ (বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌন মিলন) এর অধীনে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
তরুণীর বিরুদ্ধে পাল্টা আইনি পদক্ষেপ করেছেন দয়ালও। ২৭ বছর বয়সি এই জোরে বোলার খুলদাবাদ থানায় মহিলার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের আবেদন করেছেন। মহিলার বিরুদ্ধে আইফোন এবং ল্যাপটপ চুরির অভিযোগ করেছেন দয়াল। একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেছেন যে, ওই মহিলা নিজের এবং তাঁর পরিবারের চিকিৎসার জন্য তাঁর কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন। শোধ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও আজ পর্যন্ত তা করেননি। দয়ালের আরও দাবি, কেনাকাটার নাম করেও ওই মহিলা তাঁর কাছ থেকে টাকা ধার করেছিলেন। ক্রিকেটারের দাবি, এই অভিযোগের সমর্থনে তাঁর কাছে প্রমাণ রয়েছে। তিন পৃষ্ঠার অভিযোগে দয়াল ওই মহিলা ছাড়াও তাঁর পরিবারের দুই সদস্য এবং আরও কয়েক জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের দাবিও করেছেন।